শিশুর বেড়ে ওঠায় পরিবারের ভূমিকা


ভূমিকা

 শিশুর বেড়ে ওঠায় পরিবারের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।প্রথমে যেই প্রশ্ন আসে  যৌথ পরিবার নাকি একক পরিবার ভাল ?অনেকেই মনে করে যৌথ পরিবার আবার কেউ মনে করে একক পরিবার ।



এই পোস্ট এর আলকে যা বলতে চাই তা হলো ,শিশুর বেড়ে ওঠায় পরিবারের আগে দরকার হল পরিবেস।এই ভাল পরিবেশ মানে আলিশান বাড়ি বা প্রাসাদ নয়,দরকার পরিবারের সদস্যদের ইতিবাচকই মনভাব,সহযোগিতা,নিয়ম শৃঙ্খলা।সব বাবা মা চায় তার সন্তান শুধু পড়াশোনায় নয় অন্যান্য বিষয়ে ও ভাল হোক।এর জন্য শুধু সন্তানের পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়,অভিভাবক হিসেবে আপনারও কিছু দায়িত্ব রয়েছে।আজ আমরা এসব নিয়ে কথা বলব।

পেরেন্টিং এর কিছু টিপসঃ

১।সন্তানের আগ্রহ চিহ্নিত করুন

প্রতিটি শিশু আলাদা এবং তার পারসোনালিটি ,আগ্রহ আলাদা।তাই নিজের ইচ্ছা শিশুর ওপর না চাপিয়ে বসে তার সাথে কথা বলুন জানুন তার আগ্রহ চিহ্নিত করুন তার প্রতিভা এবং শে অনুযায়ী তাকে উৎসাহিত করুন।এতে করে আপনার আর আপনার সন্তানের মধ্যে ভাল বন্ধুত্ত তৈরি হবে।সে আত্নবিশসাস বাড়বে।

২।শিশুদের বিভিন্ন কাজে সম্পৃক্ত করুন

বাবা মার দায়িত্ব সন্তানের রুটিন এমনভাবে তৈরি করা যাতে লেখাপড়া ছাড়া ও বিভিন্ন ধরনের কাজেও অন্তর্ভুক্ত থাকে।মানে তাকে নতুন শখের চেষ্টা করতে অনুপ্রানিত করুন।

৩। শিশুর জীবনধারা উন্নত করুন

আপনি যদি জীবনের যে কোন ক্ষেত্রে উন্নত করতে চান তবে আপনার জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনা জরুরি।ছোটবেলা থেকে শিশুর পুষ্টিকর খাবার সামর্থ্য অনুযায়ী ,খেলার সময় ,পরার সময় ঘুম ও জাগার সময় নির্ধারণ করা জরুরি। এই ছোট অভ্যাসগুলো শিশুর শারিরিক ,মানসিক বিকাশে সহায়ক যা তাদের অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।


৪।শিশুর সামনে স্বামী -স্ত্রী ঝগড়া  এড়িয়ে চলা

সন্তানের সামনে বাবা মায়ের ঝগড়া নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।কতটূকু সন্তানের সামনে প্রকাশ করবেন তা ভাবার বিসয়।আপ্নারা যদি বাবা মা হন,তখন এই সীমারেখাটা খুব জরুরি হয়ে দারায়।কারন আপনাদের হার জিতের মাশুল দিতে হয় আপনার নিষ্পাপ শিশুকে।শিশুরা পর্যবেক্ষণ ও বোঝাপড়ায় খুব দক্ষ,মা বাবার কথা ও কাজ  সহজে শিশুরদের চরিত্তের ওপর প্রভাব ফেলে।তাই প্রত্তেক বাবা মার উচিত শিশুর সামনে নিজেদের কথা ও কাজের প্রতি খেয়াল রাখা।

৫।ছোটবেলা থেকে সময়ের সদ্ব্যবহার শেখান

সময়ের সদ্ব্যবহার একটি দক্ষতা যে একবার শিখেছে জিবনে অনেকদূর এগিয়ে যাবে।তাই ।ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানকে সময়ের গুরুত্ব শেখান।তবে মনে রাখবেন সময় সারণী যেন আপনার শিশুর কাছে ভারী মনে না হয়।

৬।ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলুন সন্তানের মধ্যে

 কঠিন পরিস্তিথিতে কিভাবে নিজেকে সামলাতে হয় তা আপনার সন্তানকে শেখান।সন্তানের সামনে শুধু জয়ের কাথা নয় পরাজয়কে কিভাবে সামলাতে হয় ও ইতিবাচকভাবে গ্রহন করতে হয় সেই সম্পর্কে কথা বলুন।

ইতিকথা

অনেক বাবা মা আছেন মূলত যারা প্রথম বাবা মা হয়েছেন অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ে তাদের অজানা থাকে। ফলে নানা রকম সমস্যা তৈরি হতে পারে।সন্তান মানুষ করার সময় একটি বিষয় মনে রাখবেন।শিশুরা ছোট বয়স থেকেই চারপাশের থেকে গ্রহণ করে। বিশেষ করে করবেন সূরা সেটাই অনুসরণ করবে।তাই তাকে কোন কিছুর শেখানোর হলে একটি সুস্থ পরিবেশ দিন।নিজেরা এমন কাজ করুন আপনার সন্তান অনুপ্রাণিত হবে। 

 









এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url