ডায়েট নিয়ে যত কথা

সুচনা

 না খেয়ে থাকা,উপাস করা বা  ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করাটাকে ওজন কমানোর গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার বলে মনে করেন অনেকেই।বর্তমান যুগে এখন হাতের নাগালে সবকিছু।একটি মাত্র ফোনের মাধ্যমে অর্ডার করে যেকোনো ধরনের খাবার আমরা অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার দিলে বসেই পেয়ে যাচ্ছি। এতে করে দেখা যাচ্ছে আমরা জেনে না জেনে অনেক ক্যালরি ইনটেক করছি  আর তাতে বাড়ছে আমাদের মেদ।



আমরা যত ক্যালোরি নিচ্ছি সেই অনুযায়ী হাটাচলা  করছি না।যান্ত্রিক যুগে  আমাদের শারীরিক পরিশ্রম  পরিশ্রম অনেকটাই কমে গিয়েছে।ফলে বাড়ছে আমাদের মেদ বা ভুড়ি।আর এই মেদ এর সাথে  লড়াই করতে গেলে কমাতে হবে খাবারের পরিমাণ।এর জন্য আমরা আমাদের যা করতে হবে মাঝে মাঝে রোজা করা যেতে পারে এতে করে আপনার শরীরের মেদ কমবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।এইটুকু ঠিক আছে  ঠিক আছে।তবে আমরা যা করি ওজন কমাতে গিয়ে দুজনের চাইতে অনেক কম খেয়ে ফেলি যা মোটেও ঠিক না। বরং ওজন কমাতে গিয়ে আমরা বারোটা বাজিয়ে ফেলছি।এটা ঠিক যে মাঝে মাঝে না খেলে শরীর ভেঙে পড়ার বরং বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে রোজা বা উপোস বা না খেয়ে থাকাই নিয়ম।আর এতে করে শরীরের অভ্যন্তরীণ বিশ্রাম পায়।




অনেকেই ওজন কমাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ওয়াটার ফাস্টিং এর ওপর আস্থা। আমি নিজেও ইন্টারনেট  ফাস্টিং করে থাকি।ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এ ঘন্টা না খেয়ে থাকা বাকি আট ঘন্টায় প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার খাওয়া  হয়।কিছু কিছু উপাসে শুধু ফল খাওয়া হয়  অনেকে  পানি পর্যন্ত গ্রহণ করেন না।জানতে চান কোন ডায়েট বেশি কাজের বা উপকারী?



কোন ডায়েট বেশি উপকারী

আপনি যদি সত্যিই নিজের  উপকার করতে চান প্রথমেই উপকার করুন নিজের শরীরের।ডায়েট করতে গিয়ে না খেয়ে থাকতে হয় তাতে গ্যাসের সমস্যা হয় এতে করে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার সইছে না।ঘন্টার পর ঘন্টা না খেয়ে থাকলে পরিমাণ মতো পানি পান না করলে আপনার শরীরে সমস্যা ও ডিহাইড্রেশন হবে।ফাস্টিং ভাঙার পর প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে বিশেষ করে জাতীয় খাবার এবং অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করতে হবে।পরিমাণ মতো ভাত, ডাল, সবজি মাছ অথবা মাংস।ফাস্টিং ভাঙার পর করুন আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী কর খাবার খেতে যেমন আঁশ জাতীয় খাবার শাকসবজি প্রোটিন জাতীয় খাবার ডিম।তবে মনে রাখবেন ডায়েট করতে গিয়ে যেন আপনার শরীরের অংশের  ক্ষতি না হয়।তাই শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রহণ করুন পুষ্টিকর খাবার।জাঙ্ক ফুড, ভাজাপোড়া, প্যাকেট জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত মিষ্টি ও বেশি তেল মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।আপনি যেই ডায়েট অনুসরণ করেন না কেন  ওপরের বিষয়  আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।অবশ্যই চেষ্টা করুন  রাতের খাবারটা সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে সেরে নেওয়ার।এই বিষয়গুলো মাথায় রাখলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর এটি স্বাস্থ্যকর ও বিজ্ঞানসম্মত। তাছাড়া এগুলোর পাশাপাশি আপনাকে মেনে চলতে হবে নিয়ম।খাবারের পাশাপাশি আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে,প্রয়োজন মত বিশ্রাম নিতে হবে, প্রতিদিন ৭/৮ ঘন্টা ঘুম,আর বেশি করে পানি পান করতে হবে।আপনি সব নিয়মকানুন মানার পরেও আপনার ওজন ওজন কমবে না যদি না আপনি তু পরিমাণ ঘুমান। তাছাড়া ব্যায়ামের জন্য আপনাকে এমন কিছু ব্যায়াম করতে হবে যেগুলোপুরো শরীরের ওজন কমতে। আপনি যদি শুধু তলপেটের জন্য ব্যায়াম বেছে নিন ওজন সহজে কমবে না। যখন পুরো শরীরের জন্য উপযোগী ব্যয়াম বেছে নিবেন শরীরের অন্যান্য অংশের চর্বি কমার পাশাপাশি পেটের ভুড়িটাও অটোমেটিক্যালি কমবে।তবে আপনি চাইলে অন্যান্য ব্যায়ামের পাশাপাশি পেটের জন্য কিছু এক্সারসাইজ আপনি করতে পারেন।পাশাপাশি নিয়মিত অন্তত ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা আপনাকে অবশ্যই হাঁটতে হবে আপনার ওজনটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

কোন কোন ক্ষেত্রে উপাস বা না খেয়ে থাকা একেবারেই উচিত নয় :

আপনার যদি ডায়াবেটিস বা হাইপার টেনশন গ্যাস্ট্রিক বা পেপটিক আলসারের সমস্যা,অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় এসব ক্ষেত্রে ডাক্তারের বা ডায়েটিশিয়ান সাথে পরামর্শ করে আপনার উপযোগী ডায়েটটি বেছে নিবেন।যদি দেখেন যে কোন একটি ডায়েট ফলো করতে গিয়ে ত্বক চুল খারাপ হয়ে যাচ্ছে তাহলে ডায়েট  করা বন্ধ করে দিন বা ডায়েটে পরিবর্তন আনুন। 





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url