বাচ্চাদের স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তির ভয়াবহতা
উপস্থাপনা
মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি কমানোর উপায়
আপনাকে স্মার্ট ফোনে সময় কমিয়ে দিতে হবে :
শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। তাই যতটা সম্ভব নিজেকে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখুন সময় দিন সন্তানকে। এতে করে তার মধ্যে সংবেদনশীলতা বাড়বে চিন্তার শক্তির ক্ষমতাও বাড়বে।
শিশুর ঘুম, খাবার ও খেলার সময় নির্দিষ্ট করে দিন :
শিশুর ঘুম খাবার ও খেলার সময় নির্দিষ্ট করে দিন ঘুমানোর আগে স্মার্টফোন কাছে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। দৈনিক অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম না খুবই জরুরী।এতে করে শিশুর অমানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
শিশুকে তার পছন্দের কাজে আগ্রহী করে তুলুন :
ডিভাইস থেকে দূরে রাখতে শিশুকে তার পছন্দের ব্যস্ত রাখুন।আপনার শিশু যদি নাচ, গান,সাতার অথবা আঁকার ক্ষেত্রে আগ্রহী হয় তাহলে সেটা শেখান। এতে করে ব্যস্ত থাকবে এবং ডিভাইসের কথাও ভুলে থাকবে।স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরাতে শিশুর হাতে পারেন সাদা কাগজ রং তুলি। এতে করে তার চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটবে।
পুরো পরিবারের সঙ্গে কাটানোর ব্যবস্থা করুনঃ
দিনে অন্তত দিনে অথবা রাতে অন্তত একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাথে সময় কাটানোর ব্যবস্থা করুন।আপনার শিশুর সঙ্গে মজার মজার গল্প করুন খেলা করুন।শিশুকে সৃজনশীল কথা বলুন এতে করে সৃজনশীল কাজের প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে।শিশুর সাথে আনন্দময় স্মৃতি তৈরি করুন এপি শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।শিশুকে একজন হাসিখুশি দিবাচক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন।
শিশুর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন :
পাঠ্য বই পড়ার চাপে অনেক সময় বই করার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।তাই বই পড়ার প্রতি গ্রহ নষ্ট হয়ে না যায় পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন গল্প বই তার হাতে তুলে দিতে পারেন।
শিশুকে মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে যান :
আপনার শিশুকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী না রেখে মাঝে মাঝে খেলার মাঠ বা পার্কে ঘুরতে নিয়ে যান।এটি স্মার্ট ফোন থেকে দূরে রাখার চমৎকার একটি উপায়।তাকে তার বন্ধুবান্ধবদের সাথে খেলার সুযোগ করে দিন। সম্ভব হলে শিশুকে সাথে নিয়ে ফুটবল ক্রিকেট খেলা উপভোগ করুন এতে করে শিশুর মধ্য প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হবে।
ইতিকথা
সবশেষে বলবো শিশুর সাথে রাগ না করে বা ধমক না দিয়ে স্মার্ট ফোন থেকে দূরে থাকার বুঝিয়ে বলুন।আর নিজেকে ধৈর্য ধারন করতে হবে। ডিভাইস বা স্মার্টফোন এর অতিরিক্ত বেবহারের অসুবিধাগুলো তার সামনে আলোচনা করুন।মনে রাখবেন শিশুকে বেশি প্রশ্নবিদ্ধ না করে যেমন এটা কেন করলে ওটা কেন করলে না বলে তাকে বোঝান কি করলে কি হয় বরং এতে আপনার শিসু ভালো মন্দের পার্থক্য শিখবে।
Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url