বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকা-যাওয়ার-উপায়


 আমেরিকা যাওয়ার বিষয়টি অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমেরিকা এমন একটি দেশ যেখানে সব দেশ থেকে সব ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষের যাওয়ার একটা সুযোগ আমেরিকা রেখেছে। যেহেতু আমেরিকা অনেক বড় একটি দেশ তাদের অনেক ধরনের মানুষের প্রয়োজন হয়।

 পেইজ সূচিপত্র:বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ২০২৫

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় অনেকগুলো।আপনাদের আগেই বলেছি আমেরিকার এমন এক আমেরিকা এমন একটি দেশ যেখানে সব দেশের সব বয়সের সব ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষের যাওয়ার একটা ব্যবস্থা সেই দেশ করে রেখেছে।বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় জানতে হলে আমেরিকার বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা সম্পর্কে আপনাকে আগে জানতে হবে।প্রশ্ন হচ্ছে আপনার জন্য কোন ক্যাটাগরি উপযুক্ত।এটা আপনাকে ভালোভাবে আগে বুঝতে হবে ও জানতে হবে।
 আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা যেমন চাকরি পরিবার শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভিসা সহজ করে রেখেছে অভিবাসীদের জন্য। সম্প্রতি ইবি৩ বা অদক্ষ ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর সারা দেশ থেকে বাংলাদেশসহ প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ আমেরিকায় যাচ্ছে। ফ্যামিলি ক্যাটেগরি ও এমপ্লয়মেন্টবেসড ক্যাটাগরিতে আপনি সরাসর বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় চাকরি নিয়ে কাজ করতে পারবেন।নিচে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
ইবি১: এই ক্যাটাগরিতে যে বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয় তা হল কোন বিষয়ে ভালো দক্ষতা বা বিশেষ কোন ক্ষেত্রে দক্ষতা। এক্ষেত্রে পড়াশোনা যোগ্যতা প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্রের প্রয়োজন হয়।
ইবি২(NIW):ইবি২ ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট ওয়েভার (NIW) কর্মসংস্থান ভিত্তিক ভিসা। এ ভিসার জন্য আপনাকে উচ্চশিক্ষিত হতে হবে বা আপনার ফরেন ডিগ্রি আছে,ফরেন এক্সপেরিয়েন্স বা ব্যতিক্রম দক্ষতা আছে তারা সহজে বাংলাদেশ থেকে যেতে পারে।
ইবি ৩: এই ক্যাটাগরির ভিসা আবার তিনটি বিভাগে বিভক্ত। যেমন যারা দক্ষ কর্মী,যারা পেশাদার বা প্রফেশনাল কর্মী , ও যারা অদক্ষ বা যাদের বিশেষ কোন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা নেই। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এই ভিসায় প্রচুর লোক আমেরিকায় বসবাস করে।
ইবি ৪: ইমিগ্রেশন ভিসা যা বিশেষ অভিবাসীদের দেয়া হয়।এই ভিসা কিছু নির্দিষ্ট ধরনের  অভিবাসীদের জন্য প্রযোজ্য। যেমন:ধর্মীয় কর্মী, কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মী, বিশেষ অভিবাসী কিশোর মূলত তাদের জন্য প্রযোজ্য। এটি একটি কর্মসংস্থান ভিত্তিক ভিসা যার মাধ্যমে আবেদনকারী স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাসের সুযোগ পায়।
ইবি ৫: এই ক্যাটাগরির ভিসা সকলের জন্য প্রযোজ্য নয় 
এই ভিসা শুধুমাত্র তারাই পাবে যারা আর্থিকভাবে অনেক বেশি সচ্ছল এবং যাদের বিনিয়োগ করার সামর্থ্য রয়েছে। বাংলাদেশী টাকায় ৪ কোটিরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করার সামর্থ্য থাকতে হবে।এই ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আপনাকে আমেরিকায় ব্যবসা করতে হবে এবং কমপক্ষে ১০ জন আমেরিকান নাগরিককে চাকরি দেওয়ার সামর্থ্য থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি এই ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
 ফ্যামিলি ভিসা বা পরিবার ভিত্তিক ভিসা: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি সাধারণ পথ। এই ক্যাটাগরির ভিসার মাধ্যমে আপনার পরিবারের কোন সদস্য যদি আমেরিকার নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে তারা পারিবারিক ভিসার বা স্পাউস ভিসার মাধ্যমে আপনাকে নিতে পারবে তবে এটি সময় সাপেক্ষ।
 টুরিস্ট ভিসা (B১,B২):সাধারণত ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যেমন (পর্যটন চিকিৎসা বা ব্যবসায়ী ) অল্প সময়ের জন্য দিয়ে থাকে। তবে এই ভিসার মাধ্যমে আপনি আমেরিকায় গিয়ে কাজ করতে পারবেন না।
 স্টুডেন্ট ভিসা(F১,M১): এই ভিসা আমেরিকায় পড়াশোনার জন্য একাডেমিক অধ্যায়নের জন্য (F1) এবং বৃত্তিমূলক অধ্যায়নের জন্য (M1) দিয়ে থাকে। তবে এই বিষয় আপনি স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ পাবেন না। এই ভিসার অধীনে নির্দিষ্ট শর্তের অধীনে পার্ট টাইম কাজ করার সুযোগ পাবেন।

 উপরে উল্লেখিত ক্যাটাগরির ভিসা ছাড়াও রয়েছে ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি লটারি প্রোগ্রাম)।
এটি হলো আমেরিকার সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি ইমিগ্রেশন ভিসা প্রোগ্রাম গ্রীন কার্ড নামেও পরিচিত। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে জাতিগত ও ভৌগোলিক বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা সেসকল দেশ থেকে এখানে তুলনামূলক কম সংখ্যক অভিবাসী আমেরিকা এসেছে। সালে ডিবি লটারির আবেদন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তবে বাংলাদেশ ডিভি লটারির আওতায় পড়ছে না। বাংলাদেশের কোটা অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে

আমেরিকায় যাওয়ার সহজ উপায়

 সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে কাজের বিষয় নিয়ে আমেরিকায় যাওয়া যায় না।উপরে উল্লেখিত ক্যাটাগরি যেমন ইবি ১, ইবি২,ইবি ৩, ইবি ৪, ইবি৫ কর্মসংস্থান ভিত্তিক ইমিগ্রেশন ভিসা যা যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীন গার্ড বা স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয় এই ক্যাটাগরীগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন ও বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজনীয় প্রয়োজন হয় যোগ্যতার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে আপনার ভিসা পাওয়ার সুযোগ নাও থাকতে পারে তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই আরো কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন পরিবার বা স্পাউস ভিসা, টুরিস্ট ভিসা স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি।

 বিদেশীর বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের জন্য আমেরিকা বিভিন্ন ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে যেমন:H-1B,L-1,O-1 ইত্যাদি ক্যাটেগরি।এই ক্যাটাগরি গুলোতে ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে আপনার জন্য সহজ হবে। আমেরিকার কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে কাজের সুযোগ দিয়ে যদি অফার লেটার পাঠান সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই। উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার থেকে সার্টিফিকেট ও অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের জন্য অনুমতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভাষা দক্ষতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি লোক এই ভিসায় পায়।

 আমেরিকায় বসবাসরত পরিবারের কোন সদস্য যেমন স্বামী অথবা স্ত্রী বা রক্তের সম্পর্ক কেউ স্থায়ী বসবাসকারী হয় অথবা আমেরিকার সিটিজেনশিপ থাকে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আবেদন m সঠিক পরিকল্পনা থাকে। আমেরিকায় যাওয়া কিছুটা কঠিন হলেও প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ যাচ্ছে তাহলে আপনি কেন নন?বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় আপনার জন্য সহজ হবে যদি আপনার সাধারণ যোগ্যতা যা সব ক্যাটাগরি ভিসার জন্য প্রযোজ্য:

বৈধ পাসপোর্ট যার মেয়াদ ভিসা প্রদানের তারিখ থেকে ছয় মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।

  •  জাতীয় পরিচয় পত্র 
  •  ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন
  •   আর্থিক স্বচ্ছলতা 
  •  ভিসা আবেদন পত্র DS-160 অনলাইনে পূরণ করতে হবে 
  •  নির্ধারিত ভিসা ফি প্রদান 
  • ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার যোগ্যতা
  •  ও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা
  • স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র,ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট কমেন্ডেশন লেটার ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন।
  • টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদ শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভ্রমণ পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, অন্য দেশ ভ্রমণের ট্রাভেল রেকর্ড, ট্রাভেল ইন্সুরেন্স, হোটেল বুকিং ও বিমান টিকেট ইত্যাদি থাকতে হবে।
  • চাকরি ও বসবাসের ক্ষেত্রে জব অফার লেটার কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, কোন কোন ক্ষেত্রে IELTS এর স্কোর প্রয়োজন হয়,শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট।

আরো পড়ুনঃ

আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫

 আমেরিকা উন্নত বিশ্বের একটি দেশ। আমেরিকায় উন্নত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা চিকিৎসা কর্মসংস্থান শিক্ষা ব্যবস্থা। এবং আমেরিকার ভিসা প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী। যে কেউ চাইলে আমেরিকায় চলে যেতে পারে না তার জন্য কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা নির্ভর করে দেশ এবং ভিসা ক্যাটাগরির উপরে বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরিতে  ভিন্ন রকম যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। আমেরিকা ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো।
  • একটি ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্টে অবশ্যই ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে
  • ইংরেজি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অর্জন করতে হবে
  • সঠিক পদ্ধতিতে নির্ভুল ভাবে ভিসা ফরম পূরণ করা আবশ্যক
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আবশ্যক
  • আর্থিক সংগতি থাকা আবশ্যক
  • স্বাস্থ্য পরীক্ষার সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
  • আপনি যে উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করবেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন ইনভাইটেশন, স্পনসর প্রভৃতি।ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজন

যেভাবে আমেরিকার ভিসার আবেদন করবেন

থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আপনাকে যেটা মাথায় রাখতে হবে তা হলো আমেরিকান ভিসা পাওয়ার সঠিক প্রক্রিয়া ও শর্তাবলী যা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন ধরনের ভিসা পেতে চান। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার রয়েছে যেমন B1 B2 পর্যটন ও ব্যবসায়িক,F1 শিক্ষা H1B কর্মক্ষেত্র আরো অন্যান্য। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসা নির্বাচন করুন। 

1.আপনার ভিসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ডিএস 160 ফর্ম পূরণ করা। এটি অনলাইনে সম্পূর্ণ করতে হবে। ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্ট এর বিবরণ, ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও অন্যান্য তথ্য দিতে হবে। 

2.একবার ফর্মটি পূরণ করে সাবমিট করলে আপনি একটি কনফার্মেশন পেইজ পাবেন যা আপনাকে ইন্টারভিউর সময় সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। 

3.ডি এস 160 ফর্ম সাবমিট করার পর আপনার ভিসার জন্য নির্ধারিত ফ্রি প্রদান করতে হবে। সাধারণত পর্যটন ব্যবসায়িক ভিসার জন্য ১৮৫ ডলার ফি প্রযোজ্য।
 4.পেমেন্ট সফল হলে রশিটি সংগ্রহ করুন যা আপনাকে দেখাতে হবে। 
5.এরপর আপনাকে ভিসা ইন্টারভিউ এর জন্য তারিখ এবং সময় নির্ধারণ করতে হবে। আপনি অনলাইনে দূতাবাস বা কনসুলেট অফিস থেকে ইন্টারভিউ সিডিউল পারবেন।
 6.ইন্টারভিউর দিন আপনার পাসপোর্ট ডিএস ১৬০ কনফার্মেশন পেইজ এবং পেমেন্ট রশিদ সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
  7.ইন্টারভিউ এর জন্য সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মকর্তারা আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য আর্থিক সক্ষমতা এবং দেশে ফেরার পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন।

আপনার পরিকল্পনার সঠিক ও পরিষ্কারভাবে জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর উপরেই আপনার ভিসা পাওয়া নির্ভর করছে।আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রশ্নের উত্তর দিন।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন ফরম এবং ইন্টারভিউ দুইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইন্টারভিউ এর জন্য মানসিক প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস দুটোই প্রয়োজন। ইন্টারভিউতে যদি আপনি প্রমাণ করতে পারেন আপনি ভিসার জন্য উপযুক্ত তাহলে আপনি পাঁচ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নন ইমিগ্রান্ট ভিসা ভি ওয়ান বি১ বি ২ ভিসা পেতে পারেন। তবে টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনি নিজে নিজেই আবেদন করতে পারেন। আমার মতে এ সকল ক্ষেত্রে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিজ্ঞ এজেন্সি সহায়তা নেয়া ভালো।

 আমেরিকার ভিসা পেতে কত সময় লাগে?

আমেরিকার ভিসা প্রসেস হতে মূলত খুব কম সময় লাগে ৫ থেকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যেই ভিসা প্রসেসিং হয়ে যায়। মূলত সময় লাগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে। বাংলাদেশ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগে। কখনো কখনো এর বেশি সময়ও লেগে যায়। আর আপনি যদি বাংলাদেশের বাহিরে থেকে আবেদন করেন সেক্ষেত্রে কোন কোন দেশে মাত্র ০১ মাস সময়ের মধ্যে ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যায়।

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন ২০২৬ সালের ১১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল এ খেলাটি সাধারণত আমেরিকা মেক্সিকো কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে। আর তাই প্রচুর মানুষ আমেরিকার B1 B2 ভিসার যার জন্য আবেদন করছে অথবা করবে। আপনারা এখন যারা আবেদন করবেন তারা কিন্তু মার্চ মাসের মধ্যেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাবেন। আপনি যদি এখনই যুক্তরাষ্ট্রের বি১ বি২ বা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে মার্চ মাসের মধ্যে হয়তো অ্যাপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় কত টাকা লাগে তা অনেকেই জানে না। আমি আপনাদের আজকে সে সম্পর্কে ধারণা দিব তবে আমি সর্বনিম্ন কত খরচ লাগে সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। কোন কোন ক্ষেত্রে এর বেশি লাগতে পারে। যদি কোন মাধ্যম বা দালালের মাধ্যমে যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ আরো বেশি হবে।তবে আপনার যদি কোন নিকট আত্মীয় আমেরিকায় থাকে ভিসা করলে ভিসা খরচ অনেক কম লাগবে। যদি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি খরচ পড়বে।

 বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় এর কথা বলি প্রথমেই যে বিষয়টি চলে আসে তা হল আমেরিকায় যেতে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত টাকা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে সর্বনিম্ন ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয় কখনো কখনো এর বেশিও লাগতে পারে। যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে আরো অনেক বেশি টাকা লাগবে।

 আপনি যদি বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যান অনেকেই বলে ১০ লক্ষ ২০ লক্ষ টাকা লাগবে প্রকৃতপক্ষে কিন্তু এত টাকা লাগে না। বৈধ পথে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় যেতে চান আপনার শুধু ভিসা ফি ১৮৫ ডলার বাংলা টাকায় ২২ টাকার মত হবে যেহেতু ডলার রেট উঠানামা করে। এছাড়া প্লেনের খরচ সেটা আপনার যত আগে কাটবেন কত কম টাকায় কাটতে পারবেন যেমন এক লক্ষ বা ১ লক্ষ ২০ হাজার। করছে আপনার নিজের ওপর।

 বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত সময় লাগে?

আপনি যদি আজকে থেকে এপ্লাই করা শুরু করেন ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য বা স্পন্সারশিপ হিসেবে আপনার চার বছর সময় লাগবে  বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত সময় লাগে সেটা আসলে নির্ভর করে তার ট্রানজিট টা কোন দেশে হবে তার উপর হতে পারে সেটা কাতার হতে পারে সেটা দুবাই সৌদি আরবিয়া। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে ২৬-২৮ ঘন্টা লাগে। কখনো কখনো ৩৫ থেকে ৩৬ ঘন্টা পর্যন্ত লাগতে পারে।

 বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত সময় লাগে সেটা নির্ভর করছে আপনি কোন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যাচ্ছেন এবং আপনার ট্রানজিট কোন দেশে হচ্ছে। তাছাড়া আপনি যে বিমানের ফ্লাইট এ যাবেন তার টিকেটের উপর সময় উল্লেখ করা থাকে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমেরিকায় যাওয়া যায় না। যেতে হলে অন্য কোন দেশের ট্রানজিট নিতে হয় সেখানে কয়েক ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হয়।সে ক্ষেত্রে দেশভেদে সময়টা কম বেশি লাগতে পারে।

আরো পড়ুনঃ 

 বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব কত?

আমেরিকা অনেক বড় দেশ এর অনেকগুলো অঙ্গরাজ্য রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত সময় লাগবে তা নির্ভর করে আপনি আমেরিকার কোন রাজ্যে যাচ্ছেন তার ওপর। তবে সাধারণত বিমান পথে ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের দূরত্ব ১৩,৮০০ কিলোমিটার (৮৬০০ মাইল) থেকে ১৫,৩৪৯ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
 আবার ঢাকা থেকে ওয়াশিংটন ডি.সি এর দূরত্ব ৮,১১১ মাইল।
 ঢাকা থেকে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক,ওয়াশিংটন ডিসি, বোস্টন ভ্রমণের সময় ২২ থেকে ২৬ ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে ট্রানজিট সহ। অপরদিকে আপনি যদি আমেরিকার আমেরিকার পশ্চিম উপকূল সান ফ্রান্সিস্কো লস এঞ্জেলস এ যেতে চান সে ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগতে পারে। কখনো কখনো এক্ষেত্রে ৩০ ঘন্টার বেশি সময় লাগতে পারে।

আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫

 আপনার যদি আমেরিকাতে কোন আত্মীয় থাকে সে যদি সেখানকার গ্রীন কার্ড হোল্ডার অথবা আর যদি সিটিজেনশিপ থাকে তার কোন বিজনেস বা রেস্টুরেন্ট থাকে আপনাকে স্পন্সর ভিসাতে আমেরিকায় নিয়ে আসতে পারবে এই ভিসাকে বলা হয় EB3 ভিসা এটাকে বলা হয় এমপ্লয়মেন্ট বেসড ক্যাটাগরির আনস্কিলড ভিসা। এই ভিসার মাধ্যমে আপনার গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। এটা সময় মূলত তিন থেকে চার বছর লাগে।

EB3 ভিসা প্রসেসের জন্য আপনাকে আইনজীবী হায়ার করতে হবে। আপনার যদি কোন আত্মীয় নাও থাকে আপনি আমেরিকার কোন কোম্পানির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট EB3 ভিসার মাধ্যমে যেতে পারবেন। আপনার রিলেটিভ অথবা যিনি কোম্পানির মালিক আইনজীবীর  এর মাধ্যমে ফার্ম সাবমিশন করবেন লেবার সার্টিফিকেট এর জন্য ফার্ম সাবমিট করতে হবে।লেবার ডিপার্টমেন্ট থেকে এই ফর্মটা এপ্রুভ হওয়ার পর আপনি আই ওয়ান ফোর এর জন্য এপ্লাই করবেন।

 এরপর ফার্ম সাবমিট হওয়ার পরে ১২ থেকে ১৪ মাসের মধ্যে আপনার লেবার সার্টিফিকেট এপ্রুভ হবে ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার। তারপর আপনাকে সাবমিট করতে হবে আই ওয়ান ফরটি কারণ এই আই ওয়ান ফোরটি সাবমিট করার পর ছয় মাস সময় সময় লাগবে আই ওয়ান্ ফোর্টি এপ্রুভ হতে। আই ওয়ান ফর্টি এপ্রুভ হওয়ার পর আপনাকে এক থেকে দেড় বছর অপেক্ষা করতে হবে I 1485 আমেরিকার মেইন ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করার জন্য। 

অর্থাৎ এক থেকে দেড় বছর পর আপনি যখন আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করবেন তখন আপনাকে USA ঢাকাতে গিয়ে আপনার ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউতে কোথায় কাজ করবেন কি কি ধরনের কাজ করবেন এই সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন আপনাকে করবে আপনি যদি এগুলোর সন্তোষজনজনক উত্তর দিতে পারেন তাহলে
 আমেরিকাতে দুই বছরে গ্রীন কার্ড নিয়ে ঢুকতে পারবেন।

অনেকেরই অনেকেই মনে করেন আমেরিকায় হয়তো ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয় না আসলে তা সত্যি নয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা হয় কিন্তু এটা খুব সময় সাপেক্ষ। এই পুরো ভিসা প্রক্রিয়ার করার জন্য আপনার আইনজীবী আপনার কাছ থেকে ৭ থেকে ১২ হাজার ডলারের মত আপনার থেকে চার্জ করবে অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা লাগে গ্রীন কার্ড নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আসার জন্য। যাদের রিলেটিভ নেয় তাদের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত থার্ড পার্টি এজেন্সি গুলার মাধ্যমে সহায়তা নিতে হবে।

আমেরিকায় কোন কাজের চাহিদা বেশি?

প্রকৃতপক্ষে আমেরিকাতে সব কাজের চাহিদা বেশি। যারা বৈধতা পেয়েছেন বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন অথবা যাদের গ্রীন কার্ড রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কাজের বিষয়টি একরকম অন্যদিকে যারা অবৈধ আছেন তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন। স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন বা যাদের গ্রীন কার্ড রয়েছে তারা সর্বোচ্চ বেতনে কাজ করতে পারবে তাদের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা বেশি। আমেরিকাতে কনস্ট্রাকশন সাইডে ইলেকট্রিশিয়ান প্লাম্বার এই জাতীয় কাজগুলো করতে পারবেন কনস্ট্রাকশন সাইডে।

আপনি যদি শেফের কাজ জানেন ড্রাইভিং জানেন তাহলে আপনি সেখানে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি উবার চালিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এই সকল কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে।এছাড়াও গ্রোসারিশপ এ কাজ করা,তেলের পাম্পে কাজ করতে পারবেন। তবে যারা বৈধ সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ১৬ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত পার ঘণ্টায় কাজ করতে পারবেন। যে কাজে করেন না কেন আপনাকে দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি বাংলাদেশে ড্রাইভিং শিখে থাকেন বাংলাদেশ থেকে একটি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় সেটা আপনাকে সাথে নিয়ে যেতে হবে।

এখন প্রশ্ন হল কারা 100 ডলার কাজ করতে পারবেন যারা মূলত আইটি এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার,ডাক্তার নার্স,হেলথ রিলেটেড জবে যারা যুক্ত আছেন তারা সর্বনিম্ন ৫০ ডলার পার ঘন্টা পেয়ে থাকেন। যারা ডাক্তার এফসিপিএস করা হাই কোয়ালিফাইড তারা পার ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ১০০ ডলার।একটি কথা বলা ভালো আপনি যে কাজ জানেন না কেন আপনাকে সেই দেশের ট্রেনিং প্রাপ্ত হতে হবে। নিজে কাজে করে না কেন আপনাকে দক্ষ হতে হবে এবং ইংরেজি ভাষা জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ 

শেষ কথা: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়

 বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন। ইউরোপ, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া বেশিরভাগ মানুষেরই স্বপ্নের দেশ।বিশেষ করে যে সকল দেশে উন্নত নাগরিক সুবিধা মানুষ সেখানেই পাড়ি জমাতে চায়। এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে কোন ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনাকে টাকা সময় দূরত্ব বিবেচনা করতে হবে।তাছাড়া আপনার যদি সঠিক পরিকল্পনা না থাকে সেক্ষেত্রে যে কোন দেশেই ভিসা পাওয়া আপনার জন্য একটু জটিল হবে।

 তবে যদি আমেরিকার কথা বলি আমেরিকার ভিসা প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল ও সময় সাপেক্ষ হলেও বহু মানুষ প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় যাচ্ছে এবং তারা নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিচ্ছে। আপনার যদি সঠিক পরিকল্পনা থাকে এবং আপনার জন্য কোন ক্যাটাগরির ভিসা উপযুক্ত সেটা আপনাকে আগে ভেবে দেখতে হবে তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন। আপনি যদি কোন এজেন্সির সহায়তা নেন অবশ্যই সে সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপরেই কাজ শুরু করবেন। আজ এই পর্যন্তই। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


 



















 




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url