বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। প্রিয় পাঠক আমাদের আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আমেরিকা যাওয়ার বিষয়টি অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমেরিকা এমন একটি দেশ যেখানে সব দেশ থেকে সব ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষের যাওয়ার একটা সুযোগ আমেরিকা রেখেছে। যেহেতু আমেরিকা অনেক বড় একটি দেশ তাদের অনেক ধরনের মানুষের প্রয়োজন হয়।
পেইজ সূচিপত্র:বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় ২০২৫
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
- আমেরিকায় যাওয়ার সহজ উপায়
- আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫
- যেভাবে আমেরিকার ভিসার আবেদন করবেন
- আমেরিকার ভিসা পেতে কত সময় লাগে?
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত সময় লাগে?
- বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব কত?
- আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
- আমেরিকায় কোন কাজের চাহিদা বেশি?
- শেষ কথা: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায়
আমেরিকায় যাওয়ার সহজ উপায়
বিদেশীর বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের জন্য আমেরিকা বিভিন্ন ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে যেমন:H-1B,L-1,O-1 ইত্যাদি ক্যাটেগরি।এই ক্যাটাগরি গুলোতে ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে আপনার জন্য সহজ হবে। আমেরিকার কোন প্রতিষ্ঠান আপনাকে কাজের সুযোগ দিয়ে যদি অফার লেটার পাঠান সেক্ষেত্রে আপনি খুব সহজেই। উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার থেকে সার্টিফিকেট ও অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগের জন্য অনুমতি নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভাষা দক্ষতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি লোক এই ভিসায় পায়।
আমেরিকায় বসবাসরত পরিবারের কোন সদস্য যেমন স্বামী অথবা স্ত্রী বা রক্তের সম্পর্ক কেউ স্থায়ী বসবাসকারী হয় অথবা আমেরিকার সিটিজেনশিপ থাকে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য আবেদন m সঠিক পরিকল্পনা থাকে। আমেরিকায় যাওয়া কিছুটা কঠিন হলেও প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ যাচ্ছে তাহলে আপনি কেন নন?বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায় আপনার জন্য সহজ হবে যদি আপনার সাধারণ যোগ্যতা যা সব ক্যাটাগরি ভিসার জন্য প্রযোজ্য:
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন
- আর্থিক স্বচ্ছলতা
- ভিসা আবেদন পত্র DS-160 অনলাইনে পূরণ করতে হবে
- নির্ধারিত ভিসা ফি প্রদান
- ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার যোগ্যতা
- ও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা
- স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র,ব্যাংক স্টেটমেন্ট, পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট কমেন্ডেশন লেটার ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন।
- টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদ শিক্ষাগত যোগ্যতা, ভ্রমণ পরিকল্পনা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, অন্য দেশ ভ্রমণের ট্রাভেল রেকর্ড, ট্রাভেল ইন্সুরেন্স, হোটেল বুকিং ও বিমান টিকেট ইত্যাদি থাকতে হবে।
- চাকরি ও বসবাসের ক্ষেত্রে জব অফার লেটার কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট, কাজের অভিজ্ঞতার সনদ, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা, কোন কোন ক্ষেত্রে IELTS এর স্কোর প্রয়োজন হয়,শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পুলিশ ভেরিফিকেশন সনদ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট।
আমেরিকার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা ২০২৫
- একটি ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
- পাসপোর্টে অবশ্যই ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে
- ইংরেজি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অর্জন করতে হবে
- সঠিক পদ্ধতিতে নির্ভুল ভাবে ভিসা ফরম পূরণ করা আবশ্যক
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আবশ্যক
- আর্থিক সংগতি থাকা আবশ্যক
- স্বাস্থ্য পরীক্ষার সার্টিফিকেট
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র
- আপনি যে উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করবেন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন ইনভাইটেশন, স্পনসর প্রভৃতি।ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি প্রয়োজন
যেভাবে আমেরিকার ভিসার আবেদন করবেন
থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আপনাকে যেটা মাথায় রাখতে হবে তা হলো আমেরিকান ভিসা পাওয়ার সঠিক প্রক্রিয়া ও শর্তাবলী যা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন ধরনের ভিসা পেতে চান। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার রয়েছে যেমন B1 B2 পর্যটন ও ব্যবসায়িক,F1 শিক্ষা H1B কর্মক্ষেত্র আরো অন্যান্য। আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসা নির্বাচন করুন।
1.আপনার ভিসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ডিএস 160 ফর্ম পূরণ করা। এটি অনলাইনে সম্পূর্ণ করতে হবে। ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, পাসপোর্ট এর বিবরণ, ভ্রমণের উদ্দেশ্য ও অন্যান্য তথ্য দিতে হবে।
2.একবার ফর্মটি পূরণ করে সাবমিট করলে আপনি একটি কনফার্মেশন পেইজ পাবেন যা আপনাকে ইন্টারভিউর সময় সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
আমেরিকার ভিসা পেতে কত সময় লাগে?
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন ২০২৬ সালের ১১ জুন থেকে শুরু হচ্ছে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ফুটবল এ খেলাটি সাধারণত আমেরিকা মেক্সিকো কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে। আর তাই প্রচুর মানুষ আমেরিকার B1 B2 ভিসার যার জন্য আবেদন করছে অথবা করবে। আপনারা এখন যারা আবেদন করবেন তারা কিন্তু মার্চ মাসের মধ্যেই অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাবেন। আপনি যদি এখনই যুক্তরাষ্ট্রের বি১ বি২ বা টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে মার্চ মাসের মধ্যে হয়তো অ্যাপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে?
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় এর কথা বলি প্রথমেই যে বিষয়টি চলে আসে তা হল আমেরিকায় যেতে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত টাকা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে সর্বনিম্ন ৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয় কখনো কখনো এর বেশিও লাগতে পারে। যদি আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যান সে ক্ষেত্রে আরো অনেক বেশি টাকা লাগবে।
আপনি যদি বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যান অনেকেই বলে ১০ লক্ষ ২০ লক্ষ টাকা লাগবে প্রকৃতপক্ষে কিন্তু এত টাকা লাগে না। বৈধ পথে আপনি যদি টুরিস্ট ভিসায় আমেরিকায় যেতে চান আপনার শুধু ভিসা ফি ১৮৫ ডলার বাংলা টাকায় ২২ টাকার মত হবে যেহেতু ডলার রেট উঠানামা করে। এছাড়া প্লেনের খরচ সেটা আপনার যত আগে কাটবেন কত কম টাকায় কাটতে পারবেন যেমন এক লক্ষ বা ১ লক্ষ ২০ হাজার। করছে আপনার নিজের ওপর।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত সময় লাগে?
আপনি যদি আজকে থেকে এপ্লাই করা শুরু করেন ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য বা স্পন্সারশিপ হিসেবে আপনার চার বছর সময় লাগবে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত সময় লাগে সেটা আসলে নির্ভর করে তার ট্রানজিট টা কোন দেশে হবে তার উপর হতে পারে সেটা কাতার হতে পারে সেটা দুবাই সৌদি আরবিয়া। সাধারণত বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে ২৬-২৮ ঘন্টা লাগে। কখনো কখনো ৩৫ থেকে ৩৬ ঘন্টা পর্যন্ত লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যেতে কত সময় লাগে সেটা নির্ভর করছে আপনি কোন এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যাচ্ছেন এবং আপনার ট্রানজিট কোন দেশে হচ্ছে। তাছাড়া আপনি যে বিমানের ফ্লাইট এ যাবেন তার টিকেটের উপর সময় উল্লেখ করা থাকে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমেরিকায় যাওয়া যায় না। যেতে হলে অন্য কোন দেশের ট্রানজিট নিতে হয় সেখানে কয়েক ঘন্টা বিশ্রাম নিতে হয়।সে ক্ষেত্রে দেশভেদে সময়টা কম বেশি লাগতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব কত?
আমেরিকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
আমেরিকায় কোন কাজের চাহিদা বেশি?
প্রকৃতপক্ষে আমেরিকাতে সব কাজের চাহিদা বেশি। যারা বৈধতা পেয়েছেন বা স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন অথবা যাদের গ্রীন কার্ড রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কাজের বিষয়টি একরকম অন্যদিকে যারা অবৈধ আছেন তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন। স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন বা যাদের গ্রীন কার্ড রয়েছে তারা সর্বোচ্চ বেতনে কাজ করতে পারবে তাদের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা বেশি। আমেরিকাতে কনস্ট্রাকশন সাইডে ইলেকট্রিশিয়ান প্লাম্বার এই জাতীয় কাজগুলো করতে পারবেন কনস্ট্রাকশন সাইডে।
আপনি যদি শেফের কাজ জানেন ড্রাইভিং জানেন তাহলে আপনি সেখানে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি উবার চালিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।এই সকল কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে।এছাড়াও গ্রোসারিশপ এ কাজ করা,তেলের পাম্পে কাজ করতে পারবেন। তবে যারা বৈধ সর্বনিম্ন ১৫ থেকে ১৬ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত পার ঘণ্টায় কাজ করতে পারবেন। যে কাজে করেন না কেন আপনাকে দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি বাংলাদেশে ড্রাইভিং শিখে থাকেন বাংলাদেশ থেকে একটি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয় সেটা আপনাকে সাথে নিয়ে যেতে হবে।
এখন প্রশ্ন হল কারা 100 ডলার কাজ করতে পারবেন যারা মূলত আইটি এক্সপার্ট, ইঞ্জিনিয়ার,ডাক্তার নার্স,হেলথ রিলেটেড জবে যারা যুক্ত আছেন তারা সর্বনিম্ন ৫০ ডলার পার ঘন্টা পেয়ে থাকেন। যারা ডাক্তার এফসিপিএস করা হাই কোয়ালিফাইড তারা পার ঘণ্টায় সর্বনিম্ন ১০০ ডলার।একটি কথা বলা ভালো আপনি যে কাজ জানেন না কেন আপনাকে সেই দেশের ট্রেনিং প্রাপ্ত হতে হবে। নিজে কাজে করে না কেন আপনাকে দক্ষ হতে হবে এবং ইংরেজি ভাষা জানতে হবে।
শেষ কথা: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। প্রিয় পাঠক আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি আপনি উপকৃত হবেন। ইউরোপ, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া বেশিরভাগ মানুষেরই স্বপ্নের দেশ।বিশেষ করে যে সকল দেশে উন্নত নাগরিক সুবিধা মানুষ সেখানেই পাড়ি জমাতে চায়। এক্ষেত্রে একটা কথা মনে রাখতে হবে যে কোন ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনাকে টাকা সময় দূরত্ব বিবেচনা করতে হবে।তাছাড়া আপনার যদি সঠিক পরিকল্পনা না থাকে সেক্ষেত্রে যে কোন দেশেই ভিসা পাওয়া আপনার জন্য একটু জটিল হবে।
তবে যদি আমেরিকার কথা বলি আমেরিকার ভিসা প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল ও সময় সাপেক্ষ হলেও বহু মানুষ প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকায় যাচ্ছে এবং তারা নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিচ্ছে। আপনার যদি সঠিক পরিকল্পনা থাকে এবং আপনার জন্য কোন ক্যাটাগরির ভিসা উপযুক্ত সেটা আপনাকে আগে ভেবে দেখতে হবে তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন। আপনি যদি কোন এজেন্সির সহায়তা নেন অবশ্যই সে সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপরেই কাজ শুরু করবেন। আজ এই পর্যন্তই। আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url