মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে অনেকেই গুগলে লিখে সার্চ করেন। আপনি যদি চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য।

মেয়েদের-চিকন-হওয়ার-সহজ-উপায়

অতিরিক্ত ওজনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তাই যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত আছেন তাদের জন্য আজকের ব্লগে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব।

পেইজ সূচিপত্র : মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় 

 মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায়?

 ওজন কমাতে অনেকেই নানা রকম পন্থা অবলম্বন করে থাকে তাই অনেকেই করে থাকেন জিম আবার অনেকেই করে থাকেন স্ট্রিট ডায়েট এতে করে ওজন কমার পরিবর্তে শরীরে বাসা বাঁধে মেদ। আমরা না জেনে না খেয়ে থাকছি উপাস করছি বাবা অনেকে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করছি আর এগুলোকে আমরা ওজন কমানোর হাতিয়ার বলে মনে করছি আর তখনই দেখা দিচ্ছে নানারকম বিপত্তি। ওজন কমাতে দ্রুত সাফল্য আনবে এমন ১৩ টি  উপায় আলোচনা করব।
 
1.লিকুইড ক্যালোরি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া
 চা,কফি, কোক ও জুস এগুলোতে অনেক ক্যালোরি থাকে। তাই আপনার খাদ্য তালিকা থেকে এই পানীয় গুলোকে বাদ দিন।

2.খাওয়ার পূর্বে পানি পানি পান করা
 খাবার খাওয়ার পূর্বে যদি আধা লিটার পানি খাওয়া হয় তাহলে অল্প খাবারের পেট ভরে যায় গবেষণায় দেখা গিয়েছে পানি পান করা হলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া

3. আপনার খাবারের যথেষ্ট পরিমাণের ফাইবার যুক্ত বা আর সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
 আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার নানা রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। ফাইবার যুক্ত খাবার আমাদের পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখে। আমরা যে কোন কিছু খাই না কেন শরীর সেটা ভাঙ্গে এবং ভাঙতে শরীরের কিছু ক্যালোরি খরচ হয় আমরা যখন ফাইবার যুক্ত খাবার খায় তখন সেটা ভাঙতে শরীরের অনেক বেশি ক্যালোরি খরচ হয় ও আমাদের শরীরে তুলনামূলক ক্যালরি  জমা হয়।তাই ওজন কমাতে ফাইবার যুক্ত খাবার খান।

4.পরিশোধিত খাবার পরিহার করা 
 সাদা আটা ময়দা চিনি পরিশোধিত হবার কারণে এগুলো ফাইবার ও ভিটামিন বাদ পড়ে যায় এবং এগুলো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার যা শরীর তাড়াতাড়ি হজম করে ফেলে।যেহেতু সাদা আটা ময়দা তে ফাইবার থাকে না এতে করে শরীরের ওজন তাড়াতাড়ি বাড়ে। তাই লাল আটা লাল চাল খেতে পারেন এগুলোতে প্রচুর ফাইবার থাকে।

 5.প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন 
 প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কোমল পানীয় ফাস্টফুড প্যাকেজ স্নে ক স্নেক  নুডুলস, মিষ্টি তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এবং এগুলোতে অনেক ক্যালরি থাকে পুষ্টি ও কম থাকে। যেমন ক্ষতিকর এবং এটি ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে তাই ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন।

 6.ফলমূল শাকসবজি খাওয়া 
 ওজন কমাতে গিয়ে যেন প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টিগুণ থেকে আপনার শরীর বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে তাই স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে ওজন কমাতে হলে অবশ্যই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টাটকা শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে শাকসবজি ও ফলমূলের ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে কম ক্যালরি থাকে। তাই বেশি করে ভাত রুটি খাওয়ার পরিবর্তে শাকসবজি ফলমূল খান।

 7.অতিরিক্ত তেল বর্জন করুন
 এক টেবিল চামচ তেলে ১২০ গ্রাম ক্যালোরি থাকে। তাই যতটা সম্ভব রান্না করার সময় পরিমিত তেল ব্যবহার করুন। আপনি শাকসবজি খেলেন কিন্তু সেখানে প্রচুর পরিমাণে তেল ব্যবহার করলেন এতে করে কিন্তু আপনার কোন লাভ হবে না।

 8.স্বাস্থ্যকর নাস্তা নির্বাচন করুন
সকাল বিকেলের নাস্তা তে তৈলাক্ত ভাজাপোড়া পরিহার করুন। চকলেট চিপস ফাস্টফুড  এর পরিবর্তে টমেটো গাজর খান।

 9.নিয়মিত শরীর চর্চা করার
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাবারের পর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করা। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটার জন্য সময় রাখা পাশাপাশি হালকা ব্যায়াম করতে পারেন আপনার উপযোগী যা আপনার শরীর ও পেটের মেদ কমাতে সহায়তা করবে।

 10.ঘুমাতে যাবার ২/৩ ঘন্টা পূর্বে রাতের খাবার খান
 মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় এর মধ্যে সবথেকে কার্যকরী হল সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে রাতের খাবার গ্রহণ।শুধু নারী নয় নারী-পুরুষ উভয়রে ওজন কমানোর সবথেকে নিরাপদ সহজ ও কার্যকরী উপায় হল রাতের খাবারে মনোযোগ দেয়া। তাই রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার ২/ ৩ ঘন্টা আগে যেন আপনার শরীর এই ক্যালোরি খরচ করতে পারেন। রাতের বেলায় আমাদের শারীরিক অ্যাক্টিভিটি খুব কম থাকে। চেষ্টা করুন রাতে অল্প ও হালকা খাবার খেতে।

 11.পরিমিত পরিমিত পরিমাণ খাওয়া
 খাবার খেলেও আমরা যদি অনেক বেশি পরিমাণে খাই তাহলে শরীরে অনেক বেশি ক্যালরি ঢুকবে এবং আমরা ওজন কমাতে পারবো না। আপনার শরীর যতটুকু পরিমাণ ক্যালরি খরচ করে তার থেকে যদি আপনি বেশি পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণ করেন তাহলে আপনার ওজন বাড়বেই এটা ধ্রুব সত্য এবং এটাই বিজ্ঞান। পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন।
12. পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম 

 ওজন কমাতে প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা নিরবে বিচ্ছিন্নভাবে ঘুমান।ওজন্ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমায় না তাদের মধ্যে ওজন বাড়ার একটি প্রবণতা রয়েছে। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং অতিরিক্ত খাবার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।

 13.খাবারের পরপরই ঘুমাতে যাবেন না
 দুপুর কিংবা রাতের খাবার পর পর ঘুমাতে যাবেন না খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন তারপরে বিশ্রাম নিন।

প্রতিমাসে ১ কেজি করে দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

 আমরা অনেকেই অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ও দামি ফলমূল খেয়ে থাকি। স্বার্থপর খাবার খাওয়ার পরেও আমরা অনেকেই ওজন কমাতে পারি না তার কারণ হচ্ছে আমরা পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করে থাকি এবং রাতের খাবার দেরি করে খাই বা খেয়েই শুয়ে পড়ি। যা ওজন বাড়তে সাহায্য করে। তাই আপনি যদি প্রতিমাসে এক কেজি করে ওজন কমাতে চান তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যাদের ওজন খুব বেশি নয় তারা প্রতি মাসে এক থেকে দুই কেজি করে ওজন কমানো পারেন এবং এটি স্বাস্থ্যকর।

  1.  স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলুন ভাজাপোড়া প্যাকেটজাত খাবার প্রক্রিয়াজাত খাবার কোমল পানীয় চিনি ইত্যাদি পরিহার করুন 
  2.  পরিমিত পরিমাণ খাবার গ্রহণ করুন 
  3.  প্রতিদিন নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান। ডায়েট করার পরেও অনেক সময় ওজন কমে না শুধুমাত্র কম ঘুমের জন্য । কারন পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
  4.  দিনে অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করুন 
  5.  প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য একটি সুষম খাদ্যের তালিকা তৈরি করুন এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
  6.  প্রতিদিন বেশি বেশি করে শাকসবজি ফলমূল প্রোটিন জাতীয় খাবার খান
  7.  নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও হাঁটুন 
  8.  রাতের খাবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে সাতটা থেকে ৭:৩০ মিনিটের মধ্যে সেরে নেওয়ার চেষ্টা করুন 
  9.  বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খান 
  10.  অতিরিক্ত মানুষের চাপ ও দুশ্চিন্তায় এড়িয়ে চলুন।" আমি কেন এত মোটা "এই দুশ্চিন্তা আপনাকে ওজন কমাতে বাধা দিবে।

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট 

বর্তমানে আমরা সবাই কম বেশি স্বাস্থ্য সচেতন তবে  যারা স্থূলকায় তারা অনেক কষ্ট করেও ওজন কমাতে পারেন না। অনেকেই হতাশায় ভোগেন অনেক কষ্ট করে ওজন কমানোর সম্ভব হয় না। শরীর ঠিক রাখতে ওজন কমানোর নানা টিপস নিজেরাই তৈরি করে ফেলি বা ডায়েটিশিয়ান রেখে সে অনুযায়ী খাবার তালিকা তৈরি করি।এত খরচ করেও বা এত খাবার না খেয়েও যে কেউ হালকা গড়নের ছিপছিপে শরীর রাখতে পারেন।
বেলা সময় খাবার
সকাল বেলা ৮ টা-৯ টা ওট মিল/লাল আটার রুটি+সবজি+ডিম সেদ্ধ
মিড মর্নিং ১১ টা-১২টা ফল+একমুঠো বাদাম
দুপুর বেলা ১ঃ৩০ -২টা এক কাপ ভাত+চিকেন/মাছ+সবজি +ডাল+সালাত
বিকাল বেলা ৪টা-৫টা ১/২ টি ডিম/চিকেন সুপ/ফল/ বাদাম/সালাত
রাতের বেলা ৬ঃ৩০-৭ঃ৩০(ঘুমাতে যাবার ২/৩ ঘন্টা পূর্বে মাছ/চিকেন+সালাত+টক দই

পেটের চর্বি কমাতে যে সকল খাবার খাবেন 

ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা চট করে ফ্যাট গলিয়ে দিবে এবং সুস্বাদু হবে খাবার। গবেষণায় বলছে যারা দিনে ৩ থেকে ৪ বার  ওট মিল খান তাদের পেটের চর্বি কম হয় সাধারণের থেকে। তাই ব্রেকফাস্ট লাঞ্চে ভাতের পরিবর্তে আপনি ওটমিল রাখতে পারেন। আমরা মনে করি চকলেট কোনদিনই ডায়েটে থাকতে পারে না। তবে বাজারে যে সকল সাধারণ চকলেট পাওয়া যায় এগুলো আমাদের কোন কাজে আসে না। 


এজন্য আমাদের খেতে হবে কোকো চকলেট যেসব চকলেট এ ৭০% এর মতো কোকো সেগুলোকে ডার্ক চকলেট হিসেবে ধরা হয়। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনন চর্বি গলিয়ে দিবে ঝরঝরে ফিগার। ডাক্তাররা ডায়েটে সব সময় ডিম রাখতে বলেন।এটা এমন একটি খাবার পেটের ফ্যাট কমাতে জাদু দেখায়। সেদ্ধ করে অথবা হাফ বয়েল করে খেতে পারেন।ডিমে থাকা কলিন ফ্যাট কমানোর ফ্যাট কমানোর কাজ করে থাকে। নারিকেল তেল পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে চাইলে আপনি নারকেল তেল দিয়ে রান্না করতে পারেন অথবা খালি পেটে এক চা চামচ নারকেল তেল খেয়ে নিতে পারেন।নিচে কমানোর খাবারের তালিকা দেয়া হলো 
  1.  টক দই 
  2.  গ্রিন টি 
  3.  ডিম
  4.  সবুজ শাকসবজি 
  5.  হালকা ক্ষুধায়  অথবা স্নেকসে বাদাম খেতে পারেন টক দইয়ের সাথে মিশানো চিয়া সীডস খেতে পারেন 
  6.  ডার্ক চকলেট 
  7. ওটস
  8.  নারিকেল তেল

    সকালে খালি পেটে কি খেলে ওজন কমে?

     যারা শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাচ্ছেন বিশেষ করে পেটের মেদ চান সেটার জন্য সবথেকে কার্যকর সেটা হল এক গ্লাস পানিতে কুসুম গরম পানি হতে পারে এক চা চামচ লেবুর রস এক চা চামচ এপেল সাইডার ভিনেগার এক চা চামচ চিয়া সীডস এটা মিশে যদি প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন তবে শর্ত হলো মাগরিবের নামাজের পরে আপনি কিছু খেতে পারবেন বা আপনি যদি রাতের খাবার খান সেটা সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে  ৭:০০ টার মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে। এবং মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার মধু আর খেজুর বাদে একেবারেই খাওয়া যাবেনা। সব সময়ের জন্য এটা পরিত্যাগ করতে হবে। দেখবেন আপনার পেটের মেদ খুব কমে যাবে। পাশাপাশি যদি সুইমিং অথবা সাইকেলিং করতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন।

    সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে কি ওজন কমে?

    মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন যেমন সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে কি ওজন কমে চিয়া সীডস খেলে কি ওজন কমে সকালে হাঁটলে কি ওজন কমে এই ধরনের নানারকম প্রশ্ন গুগলে আমরা সার্চ করে থাকি। প্রকৃতপক্ষে ওজন বাড়ার যে কারণগুলো রয়েছে সেগুলো আপনাকে আগে বুঝতে হবে লেবু পানি খেলেই ওজন কমবে বিষয়টি সহজ নয়। তবে হ্যাঁ সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে আপনার  মেটাবলিজম বুস্ট করবে, চর্বি যেন শরীরের না জমে সে ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।

    আপনি কোন ধরনের খাবার খাচ্ছেন সেটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।যে সকল কারণে ওজন বাড়ে যেমন খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি শুয়ে থাকলে দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করলেঅতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলে, অনেক বেশি ভাজাপোড়া খেলে শরীরে মেদ জমে, সুগার জাতীয় খাবার খেলে শরীরে মেদ জমে,খাবারকে ভালো করে চিবিয়ে না খেলে শরীরে মেদ জমে,কোন ফিজিক্যাল এক্টিভিটি না করলে,পর্যাপ্ত পরিমাণ না ঘুমালে শরীরে মেদ জমে।যেসব কারণে শরীরে মেদ জমে সে কাজ কাজগুলো আপনাকে পরিহার করতে হবে এবং পাশাপাশি শরীর চর্চা করতে হবে। সঙ্গে সপ্তাহের চার থেকে পাঁচ দিন আপনি সকালবেলা উষ্ণ গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন।

    সকালে খালি পেটে হাঁটলে কি ওজন কমে?

     সকালে খালি পেটে হাঁটলে অথবা শুধু হেঁটে ওজন কমানো সম্ভব নয়। মনে করেন আপনি অনেক বেশি ক্যালরি গ্রহণ করছেন কিন্তু হাঁটছেন তার তুলনায় কম এতে করে ওজন কমানো সম্ভব নয়।কম ক্যালোরি গ্রহণ বেশি হাঁটা সেক্ষেত্রে আপনার ওজনটা কমবে। তবে এক্ষেত্রে ব্যালেন্স করাটা ভালো আপনি কত ক্যালরি নিচ্ছেন সেটা বুঝে অর্ধেক ক্যালোরি হেঁটে আপনি বার্ন করেন।ওজন কমানোর জন্য সারা বিশ্বে যে ল গুলো আছে ক্লিনিক্যাল যে বিষয়গুলো আছে মামা ডায়েটারি প্ল্যান কে প্রতিটা বিষয়েই ডায়েটারি প্ল্যানকে ৮০% গুরুত্ব দিয়েছে বাকি ২০% ফিজিক্যাল এক্টিভিটি।

    আপনি ক্যালোরি গ্রহণের হিসাবটা যদি না বুঝেন সে ক্ষেত্রে আপনি সাময়িকভাবে হয়তো প্রচুর পরিমাণে হেঁটে অথবা হাই ইন্টেন্সিভ ব্যায়াম করে শরীরের ওজন কমাতে পারবেন মাসের শেষে আপনি ভালো একটা রেজাল্ট পাবেন কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তাই আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরে ক্যালরি গ্রহণ করুন সেটা বুঝে পর্যাপ্ত পরিমান হাঁটুন অথবা শরীরচর্চার দিকে মনোযোগ দিন

    চিয়া সীডস খেলে কি ওজন কমে?

     প্রকৃতপক্ষে চিয়া সিডস কখনোই সরাসরি আপনার ওজন কমিয়ে দিবে না। এটি বিজ জাতীয় খাবার হাই ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, জিংক এ ধরনের উপাদান গুলো থাকে শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হাই ফাইবার থাকার কারণে মেটাবলিজমকে উন্নত করে এবং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু শুধুমাত্র চিয়া সীডস আপনার ওজন কখনো কমাবে না। প্রতিদিন এক চা চামচ চিয়া সীডস পানিতে মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন।

    চিকন হতে গিয়ে যে সকল ভুল করা উচিত নয়?

     আমরা না জেনে বুঝে ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই শরীরের বারোটা বাজিয়ে ফেলি। অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং না খেয়ে থাকা বা উপাস করাটাকেই শুধুমাত্র ওজন কমানোর হাতিয়ার হিসেবে ধরে নেয়। এটা ঠিক আপনি রোজা রাখলে অথবা উপাস করলে অথবা ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে মাসের শেষে একটি ভাল ফলাফল পাবেন। কিন্তু আপনি দীর্ঘদিন যাবত এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে পারবেন না। ওজন কমাতে গিয়ে অনেকেই  শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয় দীর্ঘ মেয়াদে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 

    আপনি যেটা করছেন সেটা আপনার শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী সেটা জেনে বুঝে তারপরে ডায়েট করুন প্রয়োজনে একজন ডায়েটিশিয়ান এর পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট অনুযায়ী অনুসরণ করুন। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে যে১২টি ভুল করে থাকি তা তুলে ধরা হলো। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
    1.  পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করা
    2.  পর্যাপ্ত পরিমান প্রোটিন গ্রহণ না করা বা খুব বেশি পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করা 
    3.  দীর্ঘদিন না খেয়ে থাকা বিরতিহীন ভাবে একই ডায়েট অনুসরণ করা।
    4.  পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানো 
    5.  খিদে লাগার পরও দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা
    6.  দ্রুত ফল লাভের আশা 
    7.  ডায়েট করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া 
    8.  সারাদিন উপোস করে বা না খেয়ে থেকে একেবারেই অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে ফেলা 
    9.  অতিরিক্ত শরীর চর্চা করা
    10.  পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি গ্রহণ না করা।
    11.  নিজের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ডায়েট চার্ট না করা 
    12.  ডাক্তার বা ডেশিয়ানের পরামর্শ ছাড়াই ডায়েট অনুসরণ করা।

    শেষ কথা:মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় 

     মেয়েদের চিকন হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সাথে তুলে ধরেছি। মোটা হওয়া নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই একটি বড় সমস্যা যা শরীরের নানাবিধ রোগের সৃষ্টি করে। এখন হতে গিয়ে নিজের শরীরের ক্ষতি করা উচিত নয়। আপনি যদি সত্যিই নিজের উপকার করতে চান তাহলে প্রথমে উপকার করুন আপনার শরীরের। ডায়েট করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে শরীরে গ্যাসের সমস্যা হয় এবং পানি শূন্যতা তৈরি হয় অর্থাৎ আপনাকে বুঝতে হবে আপনার শরীর এটা সইছে না। 

    ওজন কমানোর জন্য যদি ফাস্টিং অথবা না খেয়ে থাকতে হয় তাহলে ফাস্টিং ভাঙ্গার কম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ হাই ফাইবারযুক্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। জাঙ্ক ফুড ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। রাতে ঘুমানোর অন্তত ২ থেকে ৩ ঘন্টা আগে ডিনার সেরে নিন। আপনি যদি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন আশা করি আপনিও ওজন কমাতে সফল হবেন। আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকবেন আর্টিকেলটি ভালো লাগলে পরিচিত জন ও বন্ধু-বান্ধবের নিকট শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইল।



    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url