সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ নিয়ে চিন্তিত?তাহলে বলব আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন আজকের এই আর্টিকেল প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে সাবজেক্ট ট্যুর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সাজেক-যাওয়ার-উপযুক্ত-সময়

ভ্রমন পিয়াসী মানুষদের কাছে অন্যতম একটি পছন্দের জায়গা হচ্ছে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ আর তাই আজকে রাতে গেলে আমি সাজেক ভ্যানির ভ্রমণ খরচ ও ভ্রমণ গাইডলাইন সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরব।

পেইজ সূচিপত্র: সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময় 

সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময়

 সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে প্রথমেই বলবো আপনি সাজেক কি রূপে দেখতে চান। শিশির ভেজা স্নিগ্ধ সকালে রোদের লুকোচুরির সাথে মেঘ দেখতে চান নাকি ঝুম বৃষ্টি? মাথার ওপর দুপুরবেলার রোদের আলোর ঝলকানির সাথে মেঘের ভিউ দেখতে চান নাকি গোধূলি লগ্নে মেঘের ভেলায় ভাসতে চান। নাকি রাত বিরাতে  মেঘের দল আপনাকে কোমল স্পর্শ করে মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে এমনটা চান।
আপনি ঠিক যেমনটাই চান না কেন সাজেক  এর  প্রকৃতি আপনার কাছে ঠিক তেমন রূপেই ধরা দিবে। বর্ষার সাজেক কোনো সবকিছুকে ছাপিয়ে নিজের শীর্ষ অবস্থান তার সৌন্দর্য দিয়ে ধরে রেখেছে বহু শত বছর ধরে। তবে বর্ষাকালে গেলে আপনি মেয়ে দেখতে পারবেন ঠিকই কিন্তু অন্যান্য দর্শনীয় স্থান গুলোতে হয়তো বৃষ্টির কারণে আপনি যেতে পারবেন না। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে খাগড়াছড়ির সাজেক রোডে চান্দের গাড়ি বন্ধ থাকতে পারে। শরৎকাল ও গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম থাকার কারণে ভ্রমণ আনন্দদায়ক নাও হতে পারে।

তবে আমার মতে সাজেক যাওয়ার সবথেকে উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকাল অর্থাৎ ইংরেজি মাসের হিসাব অনুযায়ী নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস এই সময়ের মধ্যে যদি আপনি ভ্রমণ করেন তাহলে সেটি হবে সবথেকে উপযুক্ত সময়। এই সময়টাতে গরমও থাকবে না এবং বৃষ্টিও থাকবে না। আপনি মেঘের দেখাও পাবেন এবং সাজেকের অন্যান্য যে দর্শনীয় স্থানগুলো রয়েছে সেখানে ঘুরে বেড়ায় বেড়াতে পারবেন এবং সাজেকের  প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সেজন্য আমার মত সাজেক ভ্রমণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে শীতকাল অর্থাৎ নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস।

ঢাকা টু সাজেক বাস বাস ভাড়া ২০২৫

 আপনি আপনার সাজেক ভ্রমণের যাত্রা শুরু করতে পারেন ঢাকার গাবতলী, কল্যাণপুর, রাজারবাগ, সায়দাবাদ থেকে আপনি বাসে করে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। আপনাকে প্রথমে যাত্রা শুরু করতে হবে ঢাকা টু খাগড়াছড়ি। যার টিকিট মূল্য নন এসি বাস শান্ত পরিবহন নন এসি বাস সার্ভিস ঢাকা টু খাগড়াছড়ি ৭৫০ টাকা প্রতি সিট। সময় ৬-৭ ঘন্টা। তবে আপনি যদি একটি আরামদায়ক ও জাঁকজমকপূর্ণ যাত্রা দিতে চান তাহলে এসি বাসে যেতে পারেন। এসি বাস সার্ভিস ঢাকা টু খাগড়াছড়ি  গ্রীন লাইন ১৬০০ টাকা। সেন্টমার্টিন মার্টিন পরিবহন রবি এক্সপ্রেস ১৭০০ টাকা। সময় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা।

 সাজেকের দর্শনীয় স্থানসমূহ

 সাজেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মেঘ পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। সাজেকের বেশ কিছু দর্শনের স্থান রয়েছে তবে এ পর্যটকদের কাছে সব থেকে আকর্ষণীয় স্থান কংলাক পাড়াহ সাজেকের সবথেকে উঁচু স্থান,রুইলুই পাড়া, রক গার্ডেন, হ্যালি প্যাড, লুসাই ভিলেজ পর্যটকদের কাছে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানে। নিচে সাজেকের দর্শনীয় স্থানসমূহের নাম তুলে করা হলো।
  •  কংলাক পাহাড়
  • কংলাক পাড়া 
  • ঝুলন্ত ব্রিজ
  • হর্টিকালচার পার্ক 
  • আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র 
  • আলুটিলা গুহা 
  • হ্যালিপ্যাড 
  • লুসাই ভিলেজ
  • রুইলুই পাড়া 
  • পাংখোয়া পাড়া 
  • কমলোক ঝর্ণা 

চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যাওয়ার উপায় 

সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল আপনি চট্টগ্রাম থেকে যদি সাজেক যেতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। আপনি যদি এসি বাসে যেতে চান তাহলে চট্টগ্রামের কদমতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে BRTC এসি বাস ছাড়ে ভাড়া জনপ্রতি  ৩০০-৩৫০ টাকা। চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় থেকে বাস এবং লোকাল বাস দুটোই রয়েছে। দুটোই এসি ও নন এসি বাস দুটো এখানে পাবেন । চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি বাসের দূরত্ব প্রায় ১১৬ কিলোমিটার যেতে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মতো।


শান্তি পরিবহনের নন এসি বাস ভাড়া ১৯০-২০০ টাকা। শান্তি পরিবহনের এসি বাস ভাড়া ৩৫০ টাকা জনপ্রতি। খাগড়াছড়ি পৌঁছে যাওয়ার পর চান্দের গাড়ি কিংবা সিএনজি করে সাজেক যেতে পারেন।খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে সাজেক প্রায় ৭০ কিলোমিটার ও দীঘা নালা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার দূরত্ব।খাগড়াছড়ি থেকে দীঘানালা আর্মি ক্যাম্প হয়ে সাজেক যেতে হয়।খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক সাধারণত ২ থেকে ২. ৫ ঘন্টা সময় লাগে।

সাজেক ভ্যালি রিসোর্ট মূল্য তালিকা 

 সাজেক ভ্যালিতে বাজেটের অনেকগুলোই রিসোর্ট রয়েছে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী বেশ কিছু রিসোর্ট পেয়ে যাবেন। আপনাদের ভ্রমণের সুবিধার জন্য বেশ কিছু মিডিয়াম বাজেটের  রিসোর্টের তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি সাম্পারি রিসোর্ট,রুনরাং রিসোর্ট, রুইলুই রিসোর্ট, মেঘ মাচাং রিসোর্ট, মেঘ পুঞ্জি রিসোর্ট এরকম আরো অনেক রিসোর্ট রয়েছে। সাজেকে রয়েছে শতাধিক রিসোর্ট। অনলাইনে সবগুলো রিসোর্ট স্বাভাবিকভাবে পপুলার নয়। অনলাইন এ আপনি সরাসরি সাজেকে গিয়ে রিসোর্ট বুকিং করল আপনি ১০০০ হাজার থেকে ১৫০০ টাকার রিসোর্ট পেয়ে যাবেন।
রিসোর্টের নাম রিসোর্ট ভাড়া অন্যান্য ও ডিসকাউন্ট
সাম্পারি রিসোর্ট ২৫০০-৪০০০ টাকা অফ সিজনে কিছুটা ডিসকাউন্ট
রুংরাং রিসোর্ট ৩৫০০-৪৫০০ টাকা "
মেঘ মাচাং রিসোর্ট ৪০০০- ৪৫০০ টাকা "
রুইলুই রিসোর্ট ৩০০০- ৫০০০ টাকা "
ঝি ঝি পোকার বাড়ি ২০০০-২৫০০ টাকা "
মেঘ পুঞ্জি রিসোর্ট ৫০০০- ৬০০০ টাকা "
রুন্ময় রিসোর্ট ৪৫০০-৪৯৫০ টাকা "
ম্যাডভেনচার রিসোর্ট ৩৫০০-৪০০০ টাকা "
জুমঘর ইকো রিসোর্ট ৪০০০টাকা সারা বছর একই মূল্য
আদ্রিকা ইকো রিসোর্ট ৩৫০০ -৪০০০ "
লুসাই কটেজ ২৫০০-৪৫০০ টাকা "
ছায়ানীর ইকো রিসোর্ট ৩০০০-৩৫০০ টাকা "
সারা নীল কুটির ২৫০০-৩০০০টাকা "
দারজেলিং রিসোর্ট,রয়েল সাজেক রিসোর্ট ২০০০-৩০০০ টাকা "
আদিবাসী ঘর ২০০০-৩০০০ টাকা "

 চট্টগ্রাম থেকে সাজেক কত কিলোমিটার?

 সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময় বর্ষাকাল আপনি যদি চট্টগ্রাম থেকে সাজেক যেতে চান প্রথমে আপনাকে খাগড়াছড়ি যেতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে বাসে খাগড়াছড়ি বা দীঘানালা সেখান থেকে জিপ অথবা চান্দের গাড়ি অথবা মোটর বাইক রিজার্ভ নিয়ে সাজেক যেতে পারেন। চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড় ও কদমতলী মোড় থেকে আপনি এসি নন এসি দু'রকম বাড়ছে পাবেন । চট্টগ্রাম থেকে প্রথমে খাগড়াছড়ি যেতে হবে যার বাসের দূরত্ব প্রায় ১১৬ কিলোমিটার সময় লাগবে তিন থেকে চার ঘন্টা।
 খাগড়াছড়ি মুছে যাবার পর এখান থেকে আপনি চান্দের গাড়ি বা বা সিএনজিতে করে সাজেক যেতে পারেন যার দূরত্ব খাগড়াছড়ি সদর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার এবং দীঘানালা থেকে প্রায় ৪৯ কিলোমিটার।খাগড়াছড়ি থেকে দীঘা নালা যেতে প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে।

সাজেক ভ্যালি হোটেল বুকিং

সাজিকে ছোট বড় দামী কম দামি মিডিয়াম বাজেটের অনেক রিসোর্ট রয়েছে আপনারা যদি অক্সিজেনে যান সে ক্ষেত্রে রুম ভাড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ডিসকাউন্ট পাবেন তবে ছুটির দিনগুলোতে কিছুটা ভাড়া বেশি থাকে। তবে হোটেলের ভাড়া নির্ভর করে হোটেলের স্থান পরিবেশ এর ওপর। আপনারা সাজেক যাওয়ার পূর্বেই ফোনে হোটেল বুকিং এর সময় প্রাইজটা নির্ধারণ করে নিতে পারেন। বিভিন্ন হোটেলের নাম ও ফোন নাম্বার আপনাদের সুবিধার জন্য তুলে ধরা হলো।
  • সামপারি রিসোর্ট ০১৮৪৯৮৮৯০৫৫
  • রুঙরাং রিসোর্ট ০১৮৬৯৬৪৯৮১৭
  •  কাঁচালং রিসোর্ট ০১৮৯১৯১৮৩৩৭
  • রুই লুই রিসোর্ট ০১৬৩২০৩০০০০
  •  মেঘ মাচাং রিসোর্ট ০১৮২২১৬৮৮৭৭
  •  মেঘ পুঞ্জি রিসোর্ট:০১৮১৫৭৬১০৬৫
  •  জীবন রিসোর্ট:০১৬১৮৭৮৮৩৪১
  •  সাজেক মৌন আভা রিসোর্ট:০১৮৫৮৩৫০৪৫১
  • ছায়ানির ইকো রিসোর্ট ০১৮৮১১৬৪৮৬৪
  • মেঘ পল্লী রিসোর্ট:০১৮৮৬৭৬০১৬৫
  • লুসাই রিসোর্ট:০১৮৫৪৪২২৬৬১
  •  ড্রিম সাজেক:০১৮১৪৭২৯১২৮
  •  হিমাচল রিসোর্ট :০১৮২৮৯৩৮৭৯৬
  •  চাদের বাড়ি রিসোর্ট :০১৮৬২৬৪৩৮৬০
  •  দার্জিলিং রিসোর্ট দর :০১৮২৯৯১৯৭৮৬
  •  রয়েল সাজেক রিসোর্ট:০১৮৪০৪৭৭৯৭৬
  •  ঝিঁ ঝিঁ পোকার বাড়ি:০১৮৬৯১৫৭৬৬৬
  •  মেঘ বিলাস রিসোর্ট :০১৮৬৯১০৪০০০
  •  রন্ময় রিসোর্ট :০১৮৬৫৪৭৬৮৮
  •  সারা নীল কুটির :০১৮৭৩২৪৯৪৭০
  •  জুম ঘর ইকো রিসোর্ট :০১৮৮৪২০৮০৬০

 সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ খরচ 

সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলার বাঘাই ছড়িতে অবস্থিত হলেও ভৌগলিক কারণে খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়াটা সবথেকে সহজ।যারা ঢাকা থেকে সাজেক আসতে চান তাদের প্রথমে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসতে হবে। আপনারা খাগড়াছড়ি বা দীঘা নালা আসার পরে আপনাকে চাঁদের গাড়ি জিপ অথবা সিএনজি বুকিং করতে হবে। আপনারা যদি সংখ্যায় কম হন সিএনজি তে ভ্রমণ খরচ অনেক কম হবে। কোথায় খাবেন কোথায় থাকবেন কতজন যাবেন তার ওপর নির্ভর করে আপনার ভ্রমণ খরচ।

ঢাকা থেকে সাজেক ভ্যালি আসার একটি আনুমানিক ধারণা আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল।

ঢাকা থেকে বাসে খাগড়াছড়ি 

  •  বাস ভাড়া নন এসি ৭৫০ 
  •  বাস ভাড়া এসি ১৬০০- ১৭০০ টাকা

খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক 

  • জিপ গাড়ি বা চান্দের গাড়ি ভাড়া সকালে গিয়ে বিকালে আসা ৭০০০ টাকা।
  • আসা-যাওয়া একরাত্রি যাপন ৮৩০০ টাকা 
  • আসা-যাওয়া একরাত্রে যাপন ( আলু টিলা গুহা,ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেংরিচাঙ ঝর্ণা) ৯৭০০ টাকা
  • আসা যাওয়া দুই রাত্রিযাপন ১০৫০০ টাকা 
  • আসা-যাওয়া দুই রাত্রি যাপন ( আলুটিলা গুহা, ঝুলন্ত ব্রিজ, তারেংরিচাং ঝর্ণা ) ১২০০০ টাকা

রিসোর্ট ভাড়া 

সাজেকের বিভিন্ন দামের রিসোর্ট রয়েছে। আপনার বাজেট অনুযায়ী সাজেক যাওয়ার পূর্বেই বুকিং করে দাম নির্ধারণ করে নিতে পারেন।অফ সিজন,অন সিজন ও সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে।এখানে আপনি ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০০, ১৫০০০ হাজার টাকা রেঞ্জ এর রিসোর্ট পেয়ে যাবেন।

খাবার খরচ 

  • খাবার খরচ প্রতি বেলা জনপ্রতি ১৫০-২৫০ টাকা।

 সাজেকে যেখানে খাবেন 

সাজেকে প্রায় প্রত্যেকটি রিসোর্টে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে রিসোর্টে খাবারের চাইতে আপনি স্থানীয় রেস্টুরেন্ট বা হোটেল গুলোতে গিয়ে যদি খান সেক্ষেত্রে দাম কিছুটা কম পড়বে। সাজেক রিসোর্ট এলাকা গুলোতে আপনি বেশ কিছু খাবারের দোকান পেয়ে যাবেন এখানে মোটামুটি সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। সাজেকে কংলাক পাড়া নামক এলাকায় বেশ কিছু স্থানীয় রেস্টুরেন্ট রয়েছে এখানে আপনি ভাত সবজি বারবিকিউ ও বিভিন্ন রকম স্থানীয় খাবার পাবেন।

আপনি যদি রিসোর্টে খেতে চান সে ক্ষেত্রে রিসোর্ট বুকিং করার সময়ই খাবারের কথা বলে রাখতে পারেন। এছাড়া পাহাড়িদের কিছু জনপ্রিয় খাবার যেমন বাঁশ করোল,বাঁশ চিকেন বা ব্যাম্বো চিকেন,ব্যাম্বো বিরিয়ানি,আমরা কম বেশি সকলেই এর সাথে পরিচিত এ ধরনের খাবার আপনি খেতে পারেন।এখানকার উপজাতিদের খাবার পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের তাছাড়া এখানে বিভিন্ন রকম ফল পাওয়া যায় যা খেতে সুস্বাদু।

আরো পড়ুন ঃ 

 শেষ কথা: সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময়

 সাজেক যাওয়ার উপযুক্ত সময় ও সাজেক ভ্রমণ গাইড সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছে আপনি যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করছি উপকৃত হবেন। যেকোনো জায়গায় ভ্রমণে যাওয়ার পূর্বে সেই জায়গা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। আপনি যেখানে থাকবেন তার আশেপাশের জায়গাটা কতটুকু নিরাপদ দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তবেই যাত্রা শুরু করুন।

 ভ্রমণে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া অন্য কোন জায়গায় না নামার চেষ্টা করুন যেকোনো সমস্যায় টুরিস্ট পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর সহায়তা নিন। পর্যটক এরিয়া গুলোতে সাধারণত খাবারের দাম যাতায়াত ভাড়া কেনাকাটা একটু বেশি খরচ হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আগেই দাম  সম্পর্কে জেনে দাম নির্ধারণ করে নিন। আপনার ভ্রমণ সুন্দর আনন্দময় ও এই আশায় আজকের মত বিদায় নিচ্ছি পরবর্তীতে আবার আপনাদের সামনে নতুন কোন জায়গার ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে হাজির হব।আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনদের নিকট শেয়ার করার জন্য অনুরোধ থাকলো।













এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url