সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

 

সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি একথা ভাবছেন? আপনি যদি সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করার কথা ভেবে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।

সৌদি-আরবে-কোন-কাজে-বেতন-বেশি

 বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাড়ি জমায়। তবে সেখানকার বেতন কোন কাজের চাহিদা বেশি কি ধরনের ভিসা রয়েছে সে সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। আজকের এই আর্টিকেলে সৌদি আরবের বিভিন্ন কাজের ভিসার বেতন সম্পর্কে আলোচনা তুলে ধরবো।

পেইজ সূচিপত্র: সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি 

 সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি?

 সৌদি আরবের কোন কাজে বেতন বেশি এ কথার উত্তরে প্রথমেই বলবো কনস্ট্রাকশন ও লেবার সেক্টর এর কাজ। যারা বিল্ডিং, রোড,সাধারণ কনস্ট্রাকশন এর সাথে জড়িত তাদের বেতন সাধারণত ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়ে থাকে। কিছু কিছু কনস্ট্রাকশন কোম্পানি খাবার থাকা খাওয়া ফ্রি দেয়। আপনি যদি এই ধরনের কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে ইনকামের বেশিরভাগ টাই জমাতে পারবেন। তারপর যে সেক্টরটার কথা বলব হাউস ড্রাইভার বা কোম্পানির ড্রাইভার।

 সৌদি আরবে ড্রাইভার জবের চাহিদা বরাবরই বেশি একজন হাউজ ড্রাইভার মাসে ১২০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল পর্যন্ত আয় করতে পারে। আর আপনি যদি একজন কোম্পানির ড্রাইভার হয়ে যান সে ক্ষেত্রে কোম্পানির কাজের উপর নির্ভর করে মাসে ২০০০ থেকে ২৫০০ রিয়াল পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এবার আসি সেলসম্যানের জবের বিষয়ে। যদি সৌদি আরবে সুপার শপ বা সুপার মার্কেট বা স্টোরে এ সেলসম্যান, কেশিয়ার অথবা স্টোর হেল্পার এর জব পেয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন ১২০০ থেকে ১৬০০ রিয়াল পর্যন্ত হবে।

তবে অনেক সুপার শপ বা সুপার মার্কেটের সেলসম্যানের জবে ইন্সেন্টিভ থাকে আপনি যদি বেশি বিক্রি করেন সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ইনকাম করা যায়। এরপরে যে সেক্টর এর কথা বলবো সেটা হচ্ছে হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এর কাজ। সৌদিতে ওয়েটার, ক্লিনার, কুকিং হেলপারদের জন্য জব এভেলেবেল থাকে। এ ধরনের জবে ১২০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত পেতে পারেন।এছাড়াও টিপস যা দিয়ে মাস শেষে অতিরিক্ত  ইনকামের সুযোগ রয়েছে।

 এরপর যে সেক্টরের কথা বলব সেটা হচ্ছে হাই স্কিল জব। ইঞ্জিনিয়ার টেকনিশিয়ান বা আইটি রিলেটেড জব গুলোতে সই আবরার কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে বা সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তবে আপনি যদি স্কিল্ড হন এসেক্টর গুলোতে কাজ করেন আপনি মাসে ৩০০০ থেকে ৬০০০ রিয়াল পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। সৌদি আরবে অনেক কোম্পানি খাবার বাসস্থান ও ট্রান্সপোর্ট ফ্রি দেয় আবার ওভারটাইম করলে বাড়তে ইনকাম তো থাকেই। আর ফ্রেন্ডলি পরিবেশ থাকলে বেতন ছাড়াও কাজ করাও অনেক সহজ হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ 

 সৌদি আরবের বেসিক বেতন কত ২০২৫

 সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি সেটা জানা যেমন জরুরী তেমনি আপনার দক্ষতা ও কাজের অভিজ্ঞতা ও জরুরি সৌদি আরব যাওয়ার ক্ষেত্রে। কারণ আপনি যে বিষয়ে যান না কেন আপনি যদি আপনার কাজে দুঃখ ও অভিজ্ঞ বা সার্টিফাইড না হন তাহলে কিন্তু আপনি সেখানে থাকতে পারবেন না এছাড়া আপনি যদি ফ্রি ভিসায় যান আপনি কাজ পেতেও পারেন আবার নাও পেতে পারেন। কিছু কিছু এজেন্সি আছে যারা বিভিন্ন রকম কথা বলে ফ্রি ভিসায় অনেকেই পাঠায় সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্ত সমস্যা এড়াতে আপনি সঠিক পরিকল্পনা এবং সঠিক কোন ব্যক্তি বা এজেন্সির সহায়তা নিন।


বেসিক বেতন বিষয়টি নির্ভর করে জাতীয়তা দক্ষতা অভিজ্ঞতা ও কাজের ধরনের উপর। সৌদি আরবে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থান রয়েছে একেক ধরনের কাজের উপর নির্ভর করে বেতন নির্ধারণ করা হয়। এছাড়াও কিছু কিছু কাজে অতিরিক্ত ইনকামের সুযোগ থাকে ওভার টাইমের সুযোগ থাকে সেক্ষেত্রে বাড়তি আয় হয়। এদেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা ঢাকা-খাওয়া চিকিৎসা ও ভ্রমণ ভাতা দিয়ে থাকে। সৌদি আরবে আরেকটি বড় সুবিধা হল বেতনের ওপর কর নেই এতে করে কর্মীরা মাসের শেষে ভালো পরিমাণ টাকা জমাতে পারে।

সৌদি আরবের বেসিক বেতন ২০২৫ এর একটি তালিকা দেয়া হল 

পেশা নাম বেসিক বা সর্বনিম্ন বেতন সর্বোচ্চ বেতন
বিল্ডিং বা রোড কনস্ট্রাকশন লেবার লেবার ৮০০ রিয়াল ১২০০ রিয়াল
হাউস ড্রাইভার ১২০০ রিয়াল ১৮০০ রিয়াল
কোম্পানি ড্রাইভার ২০০০ রিয়াল ২৫০০ রিয়াল
সেলসম্যান, ক্যাশিয়ার,স্টোর হেলপার ১২০০ রিয়াল ১৬০০ রিয়াল
ওয়েটার,ক্লিনার,কুকিং,হেল্পার ১২০০ রিয়াল ১৫০০ রিয়াল
ইঞ্জিনিয়ার বা আইটি রিলেটেড জব ৩০০০ রিয়াল ৬০০০ রিয়াল
টেকনিশিয়ান ৩০০০ রিয়াল ৬০০০ রিয়াল

সৌদি আরব যাওয়ার জন্য কি কি লাগে?

 অনেকেই আছেন যারা সৌদি আরব যেতে চান কিন্তু জানেন না সৌদি আরব যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে বা কি কি ধাপ রয়েছে। যাওয়ার জন্য যে সমস্ত কাগজপত্র বা ডকুমেন্টস লাগে একটি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
  1.  প্রথমত একটি বৈধ পাসপোর্ট লাগবে যার মেয়াদ এক বছরের বেশি।ই-পাসপোর্ট হলে ভালো হয়। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আগের এমআরপি পাসপোর্ট এখন আর দেওয়া হয় না তবে এমআরপি পাসপোর্ট এর মেয়াদ এক বছরের বেশি হলেও চলবে।
  2.  আপনার বয়স হতে হবে 21 থেকে 40 বছরের মধ্যে। ২১ বছরের বেশি বয়স হতে হবে এর নিচে হলে হবে না।
  3.  সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছয় কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  4.  পাসপোর্ট এর সাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিলে ভালো হয় 
  5.  এরপর গামকা মেডিকেল স্লিপ ও মেডিকেল চেকআপ। এটি আপনারা যদি নিতে না পারেন কোন এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে সেখান থেকেও সংগ্রহ করবেন যেটা নিতে ১০ ডলার লাগে যেটা ডলারে পেমেন্ট করতে হয়। আর মেডিকেলের খরচ 8500 টাকা।
  6.  গামকা মেডিকেল স্লিপ নেওয়ার পরে সেটাতে উল্লেখিত মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে মেডিকেল চেকআপ করাতে হবে। পর মেডিকেল চেকআপের রিপোর্ট আপনি অনলাইনে দেখতে পাবেন।
  7.  মেডিকেল রিপোর্ট যদি ভালো বা ফিট আসে এরপর মোফা  করতে হবে যা এজেন্সি থেকে করে দেওয়া হয়। হতে আপনার ভিসার নাম কোন ক্যাটাগরি প্রভিশন প্রভৃতি উল্লেখ থাকবে।
  8.  এরপর ফিংগার প্রিন্ট আবেদন করতে হবে এটা করার পর একটি স্লিপ আসবে যা পাসপোর্ট এর সাথে যুক্ত করে দিতে হয়।ফী ৬৫০ টাকা
  9.  এরপর এম্বাসিতে সকল কাগজপত্র নিয়ে ই-ভিসার জন্য জমা দিতে হবে।যেহেতু ভিসা এখন অনলাইন ভিত্তিক এগুলো জমা দেওয়ার একদিন দুইদিন অথবা সপ্তাহের মধ্যে ই ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে 
  10.  এই ভিসা নিয়ে টিটিসি অর্থাৎ টেকনিক্যাল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ জেলায় এ প্রতিষ্ঠান রয়েছে এটি আপনার জেলায়ও রয়েছে এখানে আপনাকে ট্রেনিং করতে হবে এবং সেখান থেকে একটি সার্টিফিকেট পাবেন। টিটিসি থেকে ট্রেনিং কার্ড বা সার্টিফিকেট পাওয়ার পর ফিঙ্গার দিবেন টিটিসিতে।
  11.  এরপর প্রয়োজন হবে বিএমইটি কার্ড বা ম্যানপাওয়ার কার্ড এটাও এখন অনলাইন ভিত্তিক আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
  12.  এরপর আপনাকে বিমান টিকিট কাটতে হবে।

আরো পড়ুনঃ 

     সৌদি আরবের ওয়েল্ডিং এর কাজ

     ওয়েল্ডিং বা ঢালাইয়ের এর কাজের সারা বিশ্বেই চাহিদা রয়েছে যেহেতু এটি পরিশ্রমের কাজ। এই কাজগুলো সবাই করতে পারে না সৌদি আরবেও এই কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে। তবে কাজগুলো আপনাকে অবশ্যই দেশ থেকে শিখে যেতে হবে তাহলে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আশেপাশে যে সকল গেট বা গ্রিলের দোকান আছে সেখানে নিজের টাকা দিয়ে রড কিনে ওয়েল্ডিং এর কাজ শিখবেন তারপর সৌদি আরব কাজ করতে করতে বাস্তব অভিজ্ঞতা হবে সেটাই সব থেকে ভালো। ট্রেনিং সেন্টার যেভাবে কাজ শিখাবে হয়তোবা সেভাবে আপনি কাজ করতে পারবেন না বা সৌদি আরবে সেভাবে কাজ হয় না সে ক্ষেত্রে নিজের পরিশ্রম করে শেখা ভালো।
     
    এছাড়া সৌদি আরবে ওয়েল্ডিং পেশার গুরুত্ব অনেক বেশি কারণ সৌদি ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী দেশটি তেল এর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিভিন্ন শিল্পখাত বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সরকার। এইতো বিভিন্ন নিমা ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরে ওয়েল্ডিং এর চাহিদা বাড়বে। তাই আপনি যদি ওয়েল্ডিং পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও ওয়েল্ডিং পেশায় যেতে পারেন। কারণ আপনি যদি ওয়েল্ডিং পেশায় সার্টিফাইড হন তাহলে সর্বনিম্ন ৮০০০ রিয়াল এ কাজ শুরু করতে পারবেন।
     আমাদের দেশে যে সকল ওয়েল্ডিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য 
    • বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড 
    • বাংলাদেশ জার্মান টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার 
    •  আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিরপুর ২ এ অবস্থিত পাক জার্মান কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র 
    •  বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার 
    •  নিউ লাইফ ওয়েল্ডিং ট্রেনিং সেন্টার উল্লেখযোগ্য।

    সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন ২০২৫

     সরাসরি কোম্পানির ভিসা যদি হয় মাদ্রাসা ও অফিস ক্লিনার এর ক্ষেত্রে বেতন ৭০০ রিয়াল সাথে থাকছে ওভারটাইম। সৌদি আরবের সরাসরি কোম্পানির বেতন অনেক কম হয় কিন্তু অন্যান্য সুবিধা গুলো আপনি পাবেন সব মিলিয়ে মোটামুটি আয় করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে থাকা, আকামা ফ্রি। তবে খাবার নিজের। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সৌদি আরবের শ্রম আইন অনুযায়ী আপনি পাবেন।

    আরো অনেকেই হয়তো বা সৌদি আরবের ছাকু মার্কেটের নাম শুনেছেন এটি খুব পরিচিত স্বনামধন্য  একটি শপিংমল।এখানে মার্কেট ক্লিনার এর ক্ষেত্রে বেতন হবে ১২০০ রিয়াল ডিউটি ১০ ঘন্টা। থাকা আকামা ফ্রি খাবার নিজের। এখানে ওভার টাইমের সুযোগ রয়েছে। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আপনারা সৌদি আরবের শ্রম আইন অনুযায়ী পাবেন। আপনি একটি কথা মনে রাখবেন আপনি যে ভিসাই যান না কেন আপনাকে কাজ জানতে হবে কাজ না জানলে সৌদি আরবে কাজ পাওয়াটা অনেকটা কষ্টসাধ্য হবে।

     সৌদি আরবে ইলেকট্রিক কাজের বেতন কত?

     সৌদি আরবে যদি কাজ শিখে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে যান এ ধরনের কাজে বিভিন্ন সাইটে সাধারণত ঘন্টা হিসেবে পারিশ্রমিক দেয়া হয়। কোম্পানি অনুযায়ী প্রতি ঘন্টায় ১৪, ১৫ ও ১৬ রিয়াল দেওয়া হয়। নির্ভর করছে কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী। প্রতিদিন অন্তত ১০ ঘন্টা করে কাজ করতে হয়। আবার কোথাও কোথাও ১১-১২ ঘন্টাও কাজ অর্থাৎ ওভারটাইম করতে হয় সেক্ষেত্রে আপনার স্যালারি টাও বেশি হবে। যদি সর্বনিম্ন ১০ ঘন্টা হিসাব করেন এবং সর্বনিম্ন ১৪ রিয়াল করে পারিশ্রমিক ধরেন সে ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বনিম্ন ১৪০ রিয়াল আপনি আয় করতে পারবেন। 
     
    বন্ধের দিন বাদে মাসে ২৬ দিন কাজ করতে হয় তো সেই হিসাব করলে প্রতিমাসে আপনি ৩০০০, ৩৬০০ ও ৩৭০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতন পাবেন কোম্পানি অনুযায়ী। বাংলাদেশী টাকা হিসাব করলে প্রতি মাসে আপনি  ১ লক্ষ টাকার উপরে আয় করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ আপনাকে অবশ্যই কাজ জেনে আসতে হবে এবং সঠিক ভিসায় আসতে হবে। তবে যারা ইলেকট্রিশিয়ানের হেল্পার যারা কাজ করে সর্বনিম্ন ঘন্টায় ১০ রিয়াল করে দেওয়া হয় সেই অনুযায়ী ১০ ঘন্টায় ১০০ রিয়াল আয় করা সম্ভব মাসে ২৬ দিনে ২৬০০ রিয়াল আয় করা সম্ভব। তবে আপনি যদি ভালো সাইট কন্টাকটার অথবা কোম্পানি দেখে আসেন তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

     সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসা বেতন কত?

     সৌদি আরবে বিভিন্ন কোম্পানী রয়েছে তবে কিছু স্বনামধন্য কোম্পানিতে রয়েছে এখানে সাধারণত সেলসম্যান মার্কেট ক্লিনার ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার, ড্রাইভার ও পেট্রোল পাম্প ওয়ার্কার। এই পদগুলোতে লোক নিয়ে থাকে। ক্লিনার হেল্পার ও ব্যাগার এই পদগুলোতে সাধারণত ১১০০ রিয়াল ও খাবার বাবদ ২০০ রিয়াল পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাসস্থান সাধারণত কোম্পানি বহন করে। ডিউটির সময় ১২ ঘন্টা সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করতে হয়। চাকরির মেয়াদ দুই বছর তবে ভিসা নবায়নযোগ্য।কোম্পানি অনুযায়ী টাকার পরিমান কম বেশি হতে পারে।

     ড্রাইভার কাম সেলসম্যান এর বেতন সাধারণত ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়ে থাকে সাথে কমিশন রয়েছে। এছাড়াও ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার পদে ১৩০০ রিয়াল পর্যন্ত সেলারি পাওয়া যায় থাকা আকামা থাকা আকামা মেডিকেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি বহন করে দৈনিক ১২ ঘন্টা কাজ করতে হয়। বয়স হতে হবে ২১ থেকে ৩৫ বছর। পেট্রোল আর আপনি যদি পেট্রোল পাম্প ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করেন ৮০০ রিয়াল। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে সেই সাথে ৪ ঘন্টা ওভারটাইম এর জন্য আপনি ৪০০ রিয়াল অতিরিক্ত পাবেন। আপনার বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৩৫ বছর। কোম্পানি অনুযায়ী বেতন কমবেশি হতে পারে।

    সৌদি আরব প্লাম্বার কাজের বেতন ২০২৫

     সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি এ বিষয়ে অনেকেই অনেক রকম ধারণা দিয়ে থাকে তবে যে আপনি যে কাজে যেই ভিসাতেই যান না কেন আপনাকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ হতে হবে আপনি যদি কাজ না জেনে যান তাহলে আপনি সেখানে খুব বেশিদিন থাকতে পারবেন না। যেমন সৌদি আরবে প্লাম্বার হিসেবে যান তাহলে আপনাকে ড্রয়িং এর সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ প্লাম্বার এর কাজ করতে গেলে ড্রয়িং সম্পর্কের না জানলে আপনি কাজ করতে পারবেন না। আর প্লাম্বিং এর কাজের জন্য আপনাকে ইন্টারভিউ ফেস করতে হবে।
     
    ইন্টারভিউতে আপনাকে প্লামবিং এর বিভিন্ন ফিটিংস এর সাইজ কি ধরনের ফিটিংস ব্যবহার করা হয় তারপর বিভিন্ন ফিটিংস এর নাম আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে।
    প্লাম্বার এর কাজে আপনাকে সর্বনিম্ন প্রতি ঘন্টা ১৭/ ১৮ রিয়াল  দেওয়া হয়। দৈনিক আপনাকে ১০ ঘন্টা কাজ করতে হবে। প্রতিমাসে একদিন শুক্রবার ছুটি থাকবে। সে হিসাবে আপনি মাসে বাংলা টাকায় ১ লক্ষ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আপনি মাসে উপার্জন করতে পারবেন। তবে কোম্পানিতে বেতন কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

    সৌদি আরবের হোটেল ভিসা বেতন কত?

     সৌদি আরবে সাধারণত আবাসিক হোটেলে সর্বনিম্ন 10 ঘন্টা কাজ করতে হয়। আবার কখনো কখনো ১২ ঘন্টা ১৪ ঘন্টা ও কাজ করতে হয়।এখানে ডিউটি সাধারণত শিফট অনুযায়ী হয়।হোটেল ভিসার বেতন সর্বনিম্ন ১৫০০ রিয়াল সর্বোচ্চ ২০০০ রিয়াল। কাজগুলো সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সবারই ধারণা আছে এখানে সাধারণত বহিরাগত বা পর্যটক যারা আসে তাদেরকে সেবা প্রদান করাই হচ্ছে মূল কাজ।এখানে হোটেলে যে সকল গেস্ট আসে তাদের কাছ থেকে টিপস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।সেক্ষেত্রে আপনার বাড়তি আয়ের একটা সুযোগ আছে এই পেশায়। 

    এখানে একটি কথা বলে রাখা ভালো আবাসিক হোটেল গুলো যদি মক্কা মদিনা এলাকায় হয় সে ক্ষেত্রে আপনার কাজের একটা নিশ্চয়তা থাকে কারণ এই শহরগুলোতে আবাসিক হোটেল গুলো বেশ জমজমাট এবং ভালো চলে। কিন্তু অন্যান্য শহরগুলোতে কখনো কখনো হোটেল মালিক রা কর্মী ছাটাই করে থাকে এটা নির্ভর করে তাদের হোটেলের পর্যটকদের সংখ্যার উপর নির্ভর করে। যদি তারা সেই ভাবে হোটেলে গেস্ট না পায় অর্থাৎ তাদের হোটেল ভালো না চলে সেক্ষেত্রে কর্মী ছাঁটাই হয়ে থাকে। সর্

    শেষ কথা: সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি 

     সৌদি আরবে কোন কাজে বেতন বেশি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনি সব ধরনের কাজের বেতন এবং সুযোগ সুবিধার সম্পর্কে আপনার একটি ধারণা তৈরি হয়েছে। তবে আপনি যে দেশে যান না কেন আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেই পাড়ি জমাতে হবে। তবে অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন রকম প্রতারণার শিকার হয়ে থাকে।

     এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যার বা যাদের মাধ্যমে যাচ্ছেন তাদের তাদের অভিজ্ঞতা তাদের প্রতিষ্ঠান কতদিনের এবং অন্যান্য মানুষের অভিজ্ঞতা কেমন, পূর্বে তারা কোন লোক পাঠিয়েছে পাঠিয়েছে কিনা এবং তাদের অভিজ্ঞতা প্রভৃতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে তারপরেই আপনাকে লেনদেন করতে হবে। প্রিয় পাঠক আজকে এ পর্যন্তই আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের সাথে লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইল।











    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url