শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার জেনে নিন
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বর্তমান যুগে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি যদি শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
বর্তমান যুগে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম ও বিভিন্ন সেমিনার অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে। আমরা আজকের আর্টিকেলে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও উপযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
পেইজ সূচিপত্র : শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার
- শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার
- প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
- দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ পদ্ধতির ১০টি ব্যবহার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত চারটি প্রযুক্তির নাম
- শিক্ষা ক্ষেত্রে AI এর ব্যবহার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রভাব
- শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা
- শিক্ষক শিক্ষায় আইসিটির ভূমিকা
- শেষ কথা:শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির পাঁচটি ব্যবহার
- শিক্ষা সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য জানার জন্য এখন গুগলে, ইউটিউবে সার্চ করে পেয়ে যায়।
- শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক বই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডাউনলোড করে পড়াশোনা করতে পারে
- শিক্ষা বিষয়ক যেকোনো ভিডিও ইউটিউবে দেখার মাধ্যমে তা আরো সহজ হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের কাছে
- স্কুল বা কলেজে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার জটিল বিষয়গুলোকে সহজভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে পাঠদান আরো সহজ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
- এছাড়াও ঘরে বসেই বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স এ ভর্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির দশটি ব্যবহার
- অনলাইনে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল এ ছবি এনিমেশন এর ব্যবহার পাঠদানের বিষয় শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ ও ইন্টারেস্টিং হওয়ায় তারা অনেকদিন মনে রাখতে পারে।
- অনলাইন এর মাধ্যমে আমরা লাইভ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা পাঠদান সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছে।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রশাসনিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ বিভিন্ন জরুরি নোটিশ পত্র অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।
- স্কুল কলেজের মাল্টি মিডিয়া ব্যবহার শিক্ষার বিষয়কে আরো সহজ ইন্টারেস্টিং ভাবে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে।
- শিক্ষক শিক্ষায় আইসিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষক আরো বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে এবং পাঠদান শিক্ষার্থীদের কাছে সহজ ও সুন্দরভাবে স্থাপন করতে সক্ষম হয়।এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সেমিনার বা ওয়েবিনার এ শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করে প্রশিক্ষণ নিতে পারছে।
- এছাড়া ঘরে বসে দেশে বা বিদেশের বিভিন্ন অনলাইন কোর্সে সুযোগ ভর্তির সুযোগ এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জন করতে পারছে
- আইসিটির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উভয়ই বিষয় তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণা করতে পারছে।
- শিক্ষার্থীদের ক্লাস পারফরমেন্স অ্যাক্টিভিটি সমস্ত কিছু রেকর্ড আইসিটি ব্যবহার করে শিক্ষক সংরক্ষণ করে ডাটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।
- শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে বিভিন্ন বিদেশি বই বা এমন বই যেটা আমাদের কাছে নেই সেই বইগুলো আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক ফ্রি তে পড়তে পারছি।
- যে কোন বিষয় জানার জন্য আমরা যেকোনো সময় গুগল করতে পারি অথবা উইকিপিডিয়ার মাধ্যমে সার্চ দিয়ে সহজেই জানতে পারছি।
প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিক শিক্ষার প্রথম ধাপ এই স্তরের শিশুদের বয়স সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর এর মধ্যে হয়ে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে শিশুর শারীরিক, নৈতিক বিকাশ চিন্তাভাবনার বিকাশ, মূল্যবোধ তৈরি ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো। তাই বর্তমান যুগে আইসিটি কে দূরে ঠেলে বা অবহেলা করে শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। তথ্য ও যোগাযোগ পদ্ধতির ব্যবহার ছোট ছোট শিশুদেরকে শিক্ষার প্রতি আগ্রহী ও মনোযোগী করে তোলে। নিচে প্রাইমারি শিক্ষায় তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
- যেহেতু প্রাইমারি স্তরে শিক্ষার্থীদের বয়স খুবই কম একটানা ক্লাস করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে একঘেয়েমি চলে আসে ক্লাসে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার শিক্ষার্থীদের সেই একঘেয়েমি দূর করে দেয়
- পাঠদানে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার যেমন অডিও, ভিডিও ছবির ব্যবহার পাঠ্যপুস্তক এর বিষয়কে আরো বেশি আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করে তোলে শিক্ষার্থীদের কাছে।
- আইসিটির ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তির সম্পর্কে জানতে ও ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে।
- ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে পাঠ্য বইয়ের বাইরে ও শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য শিক্ষার্থীরা বের করতে সক্ষম হচ্ছে ও সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে।
- আইসিটির ব্যবহার পাঠদান কে আরো বেশি সহজ ও বোধগম্য করায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অকৃতকার্যের হার অনেকটাই কমে গিয়েছে।
- আইসিটির ব্যবহার শিশুদের কে আরো বেশি সৃজনশীল ও কর্মদক্ষ করে তুলেছে।
- অনলাইন ইউটিউবে বিভিন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট দেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তকের জটিল বিষয়গুলোকে সহজেই সমাধান করতে পারছে।
- আইসিটির ব্যবহার শিক্ষকদেরকে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে আরো বেশি দক্ষ কর্মক্ষম করে তুলেছে।
- শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল উপকরণ ও মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার করে অল্প সময় পাঠদান সম্পন্ন করে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে সক্ষম হচ্ছে।
- ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষার বাইরে ও শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ১০টি ব্যবহার
- দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের ব্যবহার এর মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান বার্তা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দিতে পারি
- শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ পদ্ধতির ব্যবহার শিক্ষার মান কে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে
- ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ তথ্যের আদান-প্রদান মুহূর্তেই খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে।
- দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে ঘরে বসেই হাতে পাওয়া যায়।
- তথ্য ও যোগাযোগ পদ্ধতির ব্যবহার আর্থিক লেনদেনকে আরও বেশি সহজ করে দিয়েছে ঘরে বসেই আমরা ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন করতে পারছি।
- বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আবেদন ও বিভিন্ন পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ অনলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারছি।
- বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন ফেইসবুক, টুইটার ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবের সাথে যোগাযোগ রক্ষা তথ্য আদান-প্রদান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যায়।
- স্বাস্থ্য বিষয়ক ডাক্তারের পরামর্শ ও সেবা ঘরে বসেই আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিতে পারছি।
- অনলাইনের মাধ্যমে বাস ট্রেন বিমানে টিকেট ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হয়ে গিয়েছে।
- ইউটিউব ও ফেসবুকের কল্যাণে ঘরে বসেই বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান যেমন নাটক সিনেমা সিনেমা হলে না গিয়ে উপভোগ করা যায়।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত চারটি প্রযুক্তির নাম
শিক্ষা ক্ষেত্রে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূলত যেসব প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় তা হল কম্পিউটার বা ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া, ট্যাব বা মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে গুগল ক্লাসরুম পরিচালনা ইত্যাদি।এছাড়াও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স AI ও গেমিফিকেশন প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার কথা কল্পনাও করা যায় না।
- ল্যাপটপ বা কম্পিউটার শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস, শিক্ষামূলক সফটওয়্যার এর ব্যবহার ও গবেষণা করার সুযোগ করে দেয়।ই
- ন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, পাঠ্য বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন লেকচার ভিডিও দেখার মাধ্যমে জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হচ্ছে।
- শিক্ষকরাও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি, পাঠ পরিকল্পনা তৈরি ও পরীক্ষার মূল্যায়ন করতে পারে।
- শিক্ষা ক্ষেত্রে গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করা একটি কার্য করে পদক্ষেপ। গুগল ক্লাসরুম হলো গুগল কর্তৃক পরিচালিত একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে শিক্ষক ভার্চুয়াল ক্লাসরুম তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সাথে যুক্ত হতে পারেন। গুগল ক্লাস রুমের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পাঠ্ পরিকল্পনা ভিডিও লিংক প্রেজেন্টেশন শেয়ার করে থাকে।
শিক্ষাক্ষেত্রে AI এর ব্যবহার
- এআই ব্যবহার করে শিক্ষকরা শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কনটেন্ট সময়োপযোগী করে তৈরি করতে পারছে এতে করে তাদের সময় কম লাগছে কষ্ট কমে যাচ্ছে।
- Ai এর বিভিন্ন টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষনীয় বিষয়বস্তুগুলোকে বিভিন্ন ছবি বা চিত্রের সাহায্যে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজ ভাবে উপস্থাপন করে এতে করে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ তৈরি হয়।
- এ আই এর ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র, অ্যাসাইনমেন্ট,বাড়ির কাজ মূল্যায়ন খুব দ্রুত সময় করে দিতে পারে এতে করে শিক্ষকদের সময় বাঁচে এতে করে তারা পাঠদানে আরো বেশি সময় ব্যয় করতে পারে।
- শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতি ও পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে AI কনটেন্ট এসাইনমেন্ট গুলোকে সামঞ্জস্য করতে পারে।
- এ আই এর বিভিন্ন টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে সকল ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য শেখানো আরো সহজ করে দেয় বিশেষভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
- AI ভিত্তিক লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা তা পরিচালনার সিস্টেমগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স বা অগ্রগতির রেকর্ড সহজ করে।
- Ai ভিত্তিক বিভিন্ন টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষায় শিক্ষাদান করা যায়।
- শিক্ষকরা Ai ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজে এবং দূরত্ব তাদের লেসন প্লান বা পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে।
- শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতি ও শিক্ষার্থীর দূর্বলতা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী অনুশীলন দেখায়।
- AI এর ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের শেখার বিষয় এর উপর ভিডিও ছবি ও সে অনুযায়ী লেখা তথ্য সহজেই পেয়ে যায়।
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রভাব
শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ভূমিকা
ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয়ই নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অনলাইন লাইব্রেরী গবেষণা পত্র বিভিন্ন জার্নাল থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আদান প্রদান ও গবেষণায় ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া প্রাইমারি স্তরে শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি দূর করে পড়াশোনায় আগ্রহ ধরে রাখতে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষক শিক্ষায় আইসিটির ভূমিকা
শিক্ষায় আইসিটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে শিক্ষকরা গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে ডিজিটাল উপকরণ, মাল্টিমিডিয়া ইন্টারনেটের ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠদান কর্মসূচিকে আরো বেশি ইন্টারেক্টিভ আকর্ষণীয় করে তুলছে। পারবেন কে সহজ করে তোলার জন্য সকলের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য শিক্ষকরা বিভিন্ন রকম ভিডিও কুইজ ও লেকচার তৈরি করছে। এতে করে শিক্ষার্থীর কাছে যেমন পাঠদানটা সহজ হচ্ছে তেমনি এ সকল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষকের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে এআই ব্যবহার করে শিক্ষক তার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজকর্ম যেমন এসাইনমেন্ট মূল্যায়ন উত্তরপত্র মূল্যায়ন শিক্ষার্থীর পারফরম্যান্স ট্র্যাক করা খুব অল্প সময়ে করতে পারছে। এতে করে শিক্ষক পাঠদানে আরো বেশি সময় ব্যয় করতে পারছে। সব শিক্ষার্থীর মেধা এক রকম নয় শিক্ষার্থীদের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন রকম কন্টেন তৈরি করে অনুযায়ী শিক্ষার্থীকে অনুশীলন করাতে পারছেন।
ছাড়া শিক্ষক গুগল ক্লাস রুমের মাধ্যমে সকল শিক্ষার্থীদের সাথে একই সময়ে যুক্ত হতে পারছে। আইসিটি ব্যবহারের ফলে শিক্ষকের শিক্ষকদের সাথে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগও বৃদ্ধি পেয়েছে।তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষক নতুন নতুন শিখন পদ্ধতি সম্পর্কে জানা ও গবেষণা করতে উৎসাহিত হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার শিক্ষকদের চাকরি কালীন সময়ে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণে, সেমিনারে, ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ শিক্ষিকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে সহায় ভূমিকা পালন করে।
Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url