প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। সুন্দর হতে কে না চায় তাই প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।

প্রাকৃতিকভাবে-ফর্সা-হওয়ার-উপায়

যদিও গায়ের রং সৌন্দর্যের মাপকাঠি হতে পারে না। তারপরও আমরা অনেকেই ক্ষতি জেনেও কেমিক্যাল প্রোডাক্ট এর ব্যবহার করি একটু উজ্জ্বল বা ফর্সা হবার আশায়। আজকে এই পর্বে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন টিপস আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

পেইজ সূচিপত্র: প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় 

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

 প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আপনাদের জানতে হবে ফর্সা তো মানে আসলে কি। আমাদের গায়ের রং নির্ধারিত হয় ত্বকের অভ্যন্তরে থাকা মেলানিন নামক সেল দ্বারা। যাদের ত্বকে মেলানিন কম প্রচলিত ভাষায় তাদেরকে ফর্সা বলা হয় এবং যাদের ত্বকে মেলানিন এর বেশি বা মেলানিন এর দিক থেকে রিচ তাদেরকে বলা হয় কালো। তাই আমরা কালো ত্বক না বলে রিচ স্কিন টোন বলতে পারি। আমাদের ত্বকে মিলানিন নির্ধারিত হয় দুইভাবে নাম্বার ওয়ান অভ্যন্তরীণ অর্থাৎ জেনেটিক ও হরমোন।

জেনেটিকসের কারণে জন্মগত ভাবে কেউ লাইফ স্কিনটোন এবং কেউ রিচ স্কিনটোন বা কালো হয়ে থাকে। দ্বিতীয় ফ্যাক্টর টি হলো লাইফ স্টাইল ফ্যাক্টর। আমাদের লাইফ স্টাইল মেলানিন উৎপাদনের ওপর ভূমিকা রাখতে পারে। সবার আগে যে গুলো নিয়ে আলোচনা করব সেগুলো হচ্ছে লাইফস্টাইল ফ্যাক্টর। এরপরে আমি যাব জেনেটিক্স। টিপস গুলো নিচেও তুলে ধরা হলো

  স্ক্রিন বা ত্বক পরিষ্কার রাখা

  • আমরা জন্মগতভাবে যেই স্কিনটোনের অধিকারী হয় না কেন মাসের পর মাস বছরে পর বছর যখন স্কিনের সঠিক যত্ন না নিবেন তখনই চিনে ময়লা জমে তোকে কালকে রং ধারণ করে। তাই আমরা যেই দূষণের যুগে অবস্থান করছি একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে অন্তত একবার ঘুমাতে যাবার আগে স্কিন পরিষ্কার করা খুবই জরুরী। তাই বলে কোন ধরনের হার্শ সাবান বা হোয়াইটেনিং ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে যাবেন না।
  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শক্তিশালী অসুস্থতার জন্য জেন্টেল ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।

 স্কিনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা

 যারা স্ক্রিনের রং নিয়ে বেশি চিন্তিত তাদেরকে বলব প্রথমে স্ক্রিনে বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণের দাগ ব্রণ ব্ল্যাকহেডস হোয়াইট হেডস এগুলো আগে দূর করার চেষ্টা করুন তাহলে ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। মরা চামড়া দূর করতে চিনি এবং মধু মিশিয়ে মুখে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন সপ্তাহে অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন এতে ত্বকের মরাকোষ দূর হবে। অথবা চালের গুড়া মধু এবং সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মুখ স্ক্রাব করতে পারেন।

 হোমমেড ফেসপ্যাক ব্যবহার করা

  1.  প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হবার উপায় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলবো অবশ্যই হোমমেড ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে চাইলে প্রথমেই ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করুন। এক টেবিল চামচ মধু এক টেবিল চামচ গুঁড়োদুধ এক টেবিল চামচ লেবুর রস ও আধা টেবিল চামচ বাদাম তেল অথবা অলিভ অয়েল ( যদি থাকে) ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত। এরপর মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এটি করুন।
  2.  উজ্জল ও ফর্সা পেতে চন্দনের জুরি নেই। যুগ যুগ ধরে  ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই চন্দন কাঠের গুড়া। তাই তৎ ফর্সা করতে মুখের বলিরেখা দূর করতে এবং ব্রণের সমস্যা দূর করা স্কিনের টেক্সচার উন্নত সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন দুধের সাথে চন্দনের গুড়া মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
  3.  উজ্জ্বল ও লাইটেনিং টক পেতে টমেটোর পেস্ট এর সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তবে আপনার যদি সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে না ব্যবহার করাই ভালো 
  4.  মুখের সব ময়লা দূর করতে চাইলে পাকা কলা চটকে লাগান অন্তত সপ্তাহে ৩ দিন।
  5.  এ ময়শ্চারাইজ করতে চোখের নিচে কালো দাগ ও রোদে পোড়া ভাব দূর করতে শসা রস আর করুন নিয়মিত। নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে।
  6.  ত্বকে উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখাতে হলুদ একটি কার্যকরী উপাদান যাতে আমরা সবাই জানি।১/২ চা চামচ অরিজিনাল হলুদ গুঁড়া সাথে সামান্য বেসন দুধ অথবা পানি মিশিয়ে সে পেস্ট তৈরি করে আপনার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।এটি মাসে অন্তত ২ বার লাগান। 

 রোদ এড়িয়ে চলা 

  1.  নিয়মিত রোদে থাকার কারণে ন্যাচারাল স্কিনটোন পরিণত হয়। তাই আপনার ত্বকের ফর্সা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চাইলে নিয়মিত সানস্ক্রিন ছাতা ব্যবহার করুন। তুমি চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসে সানস্ক্রিন বানিয়ে ফেলতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে,এলোভেরা জেল,ভিটামিন ই ক্যাপসুল,গোলাপজল সিরাম দিয়ে ঘরে বসেই বানিয়ে নেয়া স্ক্রিন বানিয়ে নেয়া সম্ভব। এটি শুধু সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করবে না ত্বকে উজ্জ্বল ও নরম করে তুলবে।
  2.  ত্বকের বলিরেখা ও অকাল পার্থক্য ঠেকাতে ভিটামিন সি সিরামের জুড়ি নেই।তাই নিজেই ঘরে বসে বানিয়ে ফেলুন 
যা যা লাগবে : 
এসকরবিক এসিড ২ টেবিল চামচ 
২ চা চামচ গোলাপ জল 
১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন 
 ভিটামিন ই ক্যাপসুল ১ টি
 ডিস্টিলড ওয়াটার বা পাতিত পানি ১ টেবিল চামচ 
 পদ্ধতি:
প্রথমে একটি বায়ুরোধী কাঁচের বোতল বা কাঁচের ড্রপার বোতল নিন। এই বোতলে এসকরবিক এসিড গোলাপজল ও পাতিত পানি একসাথে মিশিয়ে নিন। এরপর এতে দিয়ে দিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও গ্লিসারিন ভালোভাবে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ভিটামিন সিরাপ এতে আপনি প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে লাগাতে পারেন।

নিয়মিত মশ্চারাইজার ব্যবহার করা  ব্যবহার করা

 ত্বকের জন্য মশ্চারাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান তাই ত্বককে মসৃণ টানটান ও উজ্জ্বল রাখতে মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। নারিকেল তেল প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ঘরে বসে বানিয়ে ফেলতে পারেন এই ময়েশ্চারাইজার নারকেল তেল ও মধু মিশে তৈরি করে ফেলুন। অথবা ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল।

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় যদি জানতে চান তাহলে বলব প্রথমেই আপনাকে খাবারের দিকে মনোযোগী হতে হবে। সঠিক খাবার যেমন আমাদের ত্বকে নানাবিধ সমস্যা থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে তেমনি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে অন্যতম উপায় হলো ভেতর থেকে ফর্সা হওয়া। আপনার ত্বক যদি ভেতর থেকে সুন্দর না হয় তাহলে বাহ্যিকভাবে অনেক কিছু ব্যবহার পরও আপনি কাঙ্খিত ফল পাবেন না। তরুণ জেনে নেয়া যাক ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
পর্যাপ্ত পানি পান করা পান করা: পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে ঘামের সাহায্যে বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে। ত্বকের কোষের স্বাস্থ্য ভালো রেখে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে।

 কলা :কলাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ যা ত্বকের মলিন ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
 গাজর : নিয়মিত গাজর খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টক হয়ে ওঠে সজীব এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু মেরামত করার পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকে সুরক্ষা দেয়।
বাদাম: যেকোনো বাদামেই রয়েছে ওমেগা ৩  ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই ভিটামিন ই যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কিছুটা হলেও বাদাম রাখুন।
গ্রিন টি: গ্রিন টি এ রয়েছে ক্যাটেচিন নামক এক প্রকার এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরকে বিষমুক্ত করতে সাহায্য করে নিয়মিত গ্রিন টি পানে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রণের সমস্যা সমাধানের সহায়তা করে।
শাকসবজি : শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। শাক সবজির ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বকের টানটান ভাব ধরে রাখত সহায়তা করে।
অন্যান্য ফল ও সবজি: এছাড়া আম টমেটো করোল্লা মিষ্টি কুমড়া পেঁপে ও হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে  সহায়তা করে। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত এই খাবারগুলো রাখার চেষ্টা করুন।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

আপনার গায়ের রং ফর্সা কিংবা কালো কিংবা শ্যাম বর্ণ যাই হোক না কেন আপনি যদি রূপচর্চার মাধ্যমে গায়ের রং উজ্জ্বল ও লাইট করতে চান অর্থাৎ ফর্সা করতে চান তাহলে রূপচর্চাটা আপনাকে ধরে রাখতে হবে বা চালিয়ে যেতে হবে।তাছাড়া স্থায়ীভাবে ফর্সা বা উজ্জ্বলত পাওয়া যায় না। আপনি কিছুদিন নিয়মিত রূপচর্চা করলেন তারপর ছেড়ে দিলেন এতে করে আপনি ফর্সা বা শ্যাম বর্ণ এই রংয়ের অধিকারী হন না কেন রূপচর্চা বা যত্ন ছেড়ে  দিলে আপনার ফর্সা স্কিনও দিন দিন ডার্ক হতে থাকবে। ত্বকের রং উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে যা যা করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
  1. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে ও ধরে রাখতে আপনাকে অবশ্যই সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। রান্না করার সময় অথবা রোদ্রে বের হওয়ার সময় একটি ভালো সানস্ক্রিন অথবা বাসায় তৈরি  সান স্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  2.  ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন মশ্চারাইজার লাগান। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে মুশুরের ডাল অথবা চালের গুড়া দুধের সাথে মিশিয়ে স্ক্রাব করুন।এটি ত্বকের ব্ল্যাকহেডস হোয়াইটহেডস  ও ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ও প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে।
  3.  শসা ও আলুর রস ব্যবহার করুন।
  4.  চন্দন গুড়ার ফেসপ্যাক, লেবু মধুর ফেসপ্যাক হলুদের গুড়া ও বেসনের ফেসপ্যাক সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন  ব্যবহার করুন। তবে ত্বকে এলার্জি সমস্যা থাকলে লেবু এড়িয়ে চলুন।
  5.  প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানির অভাবে ত্বক ডিহাইড্রেট হয় এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি ও রসালো ফল খান। 
  6.  ত্বক স্বাস্থ্যকর ও সতেজ রাখতে দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান। ঘুমের সময় ত্বক কোষ মেরামত করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে। তাই তোকে সুন্দর রাখতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান।

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়?

শুধুমাত্র শরীর সুস্থ রাখতে নয় ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন রকম ভিটামিন। ঘর থেকে বের হলেই বিভিন্ন রকম দূষণ ও ধুলাবালির কারণে ত্বকে নানা রকম ক্ষতি হতে পারে।এছাড়া ব্যাকটেরিয়া ত্বকে ইরিটেট করে ফলে একনি,একজিমা প্রভৃতি নানা রকম সমস্যা ত্বকে দেখা দেয়। তাই ত্বকের সুরক্ষায় প্রয়োজন পর্যাপ্ত ভিটামিন। ত্বকের যেকোনো সমস্যায় সবথেকে বেশি কার্যকরী ভিটামিন এ। বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধে ভিটামিন এ এর জুরি নেই। ত্বককে উজ্জ্বল ও মোলায়েয়ন করে ভিটামিন এ। আবার যারা প্রায় ঠান্ডা সমস্যায় ভুগেন তারাও নিয়মিত ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। 

শরীরের জন্য অন্যতম জরুরি উপাদান হচ্ছে জিংক। ঠান্ডা লাগা খিদে কমে যাওয়া ব্লাড সুগার সমস্যার সমাধানে আসে জিংক। কুমড়ো সূর্যমুখী আমন্ড তিলের বীজ এ ধরনের খাবারে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া যায় জিংক। আমাদের আমাদের শরীরে যেকোনো সমস্যার সমাধান করে ভিটামিন সি। কেউ যদি দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন সি খায় তাহলে ত্বক হয়ে উঠবে সজীব একই সাথে ত্বক ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা। মুখে বার্ধক্যের ছাপ ও বলিরেখা দূর করে ভিটামিন সি। পেয়ারা কমলালেবু গ্রিন টি তেতুল ও নানা রকম সবুজ শাকসবজিতেও পাওয়া যায় ভিটামিন সি।

তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় 

তৈলাক্ত ত্বকের কারণে অনেকেই বিরক্ত হন তবে তৈলাক তৈলাক্ত ত্বক মুখের বলিরেখা ও ত্বকের রং এর পরিবর্তন হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে ত্বক তৈলাক্ত হলে তাতে ধুলোবালি আটকে যায় এতে করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এমন হলে দিনে অন্তত দুইবার একটি ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার বিকল্প নেই।এছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও সুন্দর করা যায় নিচে সেই উপায়গুলো দেওয়া হল।

  1. দিনে অন্তত দুই বার ভালোভাবে মুখ ভালো সাবান অথবা ভালো মানের ফেসওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করুন।
  2. বারবার ফেস ওয়াশ বা সাবান দিয়ে মুখ ধোয়ার পর আপনি যদি ত্বকে মশ্চারাইজ না করেন তাহলে ত্বক অতিরিক্ত তেল বের করে। তাই যখনই আপনি মুখ ধুবেন আপনাকে সুট করে এমন একটি মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন সেটা হতে পারে ঘরে তৈরি মশ্চারাইজার।
  3. নিয়মিত শসার রস দিয়ে পরিষ্কার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়।
  4. গোলাপজল ও লেবুর রস মুখে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এতে ব্রণ  ও ফুসকুড়ির দাগ থাকলে সেটিও চলে যাবে।
  5. এক টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে সামান্য হলুদের গুঁড়ো ও টক দই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন শুকিয়ে না যাওয়া অব্দি। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে।
  6. এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি ও এক টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ো পানি দিয়ে গুলিয়ে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। শুকিয়ে যাওয়ার পর ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই আয়নার সামনে দেখতে পাবেন তেল-হীন মসৃণ ত্বক।

ত্বক ফর্সা বা কালো হওয়ার কারণ কি?

ত্বক ফর্সা বা কালো হওয়ার কারণ হচ্ছে মেলানিন রঞ্জক পদার্থ।মেলানিন আমাদের চুল, গায়ের রং ও চুলের রং নির্ধারণ করে।মেলানোসাইট নামক কোষ থেকে ত্বকে মেলানিন উপাদান তৈরি হয়। মেলানিন মানুষের গায়ের রং নির্ধারণ করে। ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ যত কম থাকবে তত গায়ের রং ফর্সা হবে মেলানিন পরিমাণ বেশি থাকলে গায়ের রং কালো হয়।ত্বক ফর্সা বা কালো হওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে নিছে তা তুলে ধরা হলো।
  •  বংশগতি বা জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বকের রং কালো হয় 
  •  বিভিন্ন উপাদান যেমন ভিটামিন এ বি সি এর অভাব হলে ত্বক কালো হয়ে যায়
  •  অতিরিক্ত সূর্যের আলোতে থাকলে ত্বকে মেলানিনের উৎপাদন বেড়ে যায় এবং ত্বক কালো দেখায়।
  •  চর্ম রোগের কারণেও অনেক সময় ত্বক কালো হয়ে যায়।
  •  কালো হয়ে যাওয়ার অন্য আরেকটি কারণ হলো লিভারের সমস্যা।
  • বিভিন্ন সময় হরমোনের পরিবর্তনের কারণেও ত্বক কালো হয়ে থাকে যেমন গর্ভাবস্থায় মেনোপজ ও পিল খাওয়ার সময়।
  •  ছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে মিলানিনের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ার কারণে ও মানুষ কালো হয়ে যায়।

কাঁচা হলুদ খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়?

কাঁচা হলুদের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে পাশাপাশি এটি ত্বকের জন্য বেশ উপকারী।কাঁচা হলুদ খেলে কারকিউমিন  প্রভাবে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়। বয়সের ছাপ কমাতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে আপনি এক টুকরো কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেতে পারেন। যেহেতু একটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে থাকে তাই একনি প্রতিরোধ হয় স্ক্রিনের দাগ প্রতিরোধ হয়। ত্বক টানটান হয়  তবে এটি স্বাভাবিক ত্বকের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা করে না। কাঁচা হল খাওয়ার কারণে আমাদের ডাইজেশন ভালো হয় যার কারণে অটোমেটিক্যালি আমাদের স্কিনের ডেভেলপমেন্ট হয়।

শেষ কথা:প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হবার উপায়

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। যথাযথ একটি স্ক্রিন কেয়ার রুটিন মেইনটেইন করে আপনি ত্বককে হেলদি ও গ্লোয়িং করে তুলতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনার স্কিন টাইপ ও স্ক্রিন কন্ডিশন অনুযায়ী সঠিক একটি রুটিন বেছে নিন। আপনার ত্বক ফর্সা ও উজ্জল রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই রোদের তাপ অথবা রান্না করার সময় মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুম আপনার ত্বককে রাখবে সুন্দর।

কথা মনে রাখবেন ফর্সা ত্বক মানে কিন্তু সুন্দর ত্বক না। আপনার ত্বককে সুন্দর দেখাতে হলে দাগ মুক্ত ব্রণ মুক্ত ডার্ক সার্কেল মুক্ত ও বলি রেখা দূর করতে হবে। ফর্সা ত্বকের পাশাপাশি যদি যদি ত্বক উজ্জ্বল মসৃণ দাগমুক্ত হয় তাহলে আপনার সৌন্দর্য আরো বেড়ে যাবে।আপনাকে আরো বেশি ফর্সা মনে হবে। তাই নিজেকে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম খাবার পানির বিকল্প নেই। আজ এই পর্যন্তই। আশা করছি আজকের আর্টিকেল আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। এই আর্টিকেলটি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ থাকলো।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Growwithnazmin এর'র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url